%e0%a6%85%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4-%e0%a6%95

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আরেকবার অসি ব্যাটসম্যানদের মাটিতে নামিয়ে এনে টানা তৃতীয় টেস্ট সিরিজ জয় করার কৃতিত্ব দেখিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে হোবার্টে একদিন বাকি রেখেই ইনিংস ও ৮০ রানে অস্ট্রেলিয়াকে বিধ্বস্ত করে সিরিজ নিশ্চিত করেছে সফরকারীরা।টেস্টের চতুর্থ দিনে প্রোটিয়া বোলাররা অস্ট্রেলিয়াকে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ১৬১ রানে গুটিয়ে দেয়। ১১৬ বলে মাত্র ৩২ রানে অস্ট্রেলিয়ার শেষ ৮ আট উইকেটের পতন হয়েছে। এর আগে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৮৫ রানে অল আউট হয়েছিল। স্টিভেন স্মিথের দলের বিপক্ষে পার্থে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ১৭৭ রানের জয় পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৮০-৯০’র দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টানা তিনটি টেস্ট সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার এই কৃতিত্ব কিছুটা হলেও ক্যারিবীয়দের ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে প্রথম দুই টেস্টেই যে দাপট তারা দেখিয়েছে তাতে সিরিজের তৃতীয় টেস্টেরও ফলাফল নিয়ে ইতোমধ্যেই শঙ্কায় পড়েছে স্বাগতিকরা।

ম্যাচ শেষে জয়ী দলের অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস বলেছেন, আশা করিনি জয়টা এত তাড়াতাড়ি আসবে। এক সেশনে ৮ উইকেট তুলে নেয়া মোটেই সহজ নয়। তবে আমরা সবসময়ই বিশ্বাস করেছি একটি দল হিসেবে খেলতে পারলে সিরিজ আমাদের হবেই। এটা সত্যিই একটি বিশেষ অর্জন। তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করা সত্যিই বিশেষ কিছু। যেভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি তাতে আমি গর্বিত।দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পাশাপাশি পুরো সিরিজেই দলের পারফরমেন্সে আগামী সপ্তাহে এডিলেডে দিবা-রাত্রির টেস্ট নিয়ে এখনই চিন্তা করতে শুরু করেছেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও কোচ ড্যারেন লেহম্যান। তবে তৃতীয় ও শেষ টেস্টে দলে পরিবর্তন যে আবশ্যক এটা সহজেই অনুমেয়। চলতি বছর এটা অস্ট্রেলিয়ার টানা পঞ্চম সিরিজ পরাজয়। আগস্টে শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের এ্যাওয়ে সিরিজেও হোয়াইট ওয়াশ হয়েছিল অসিরা।

একের পর এক ম্যাচ পরাজয়ে হতাশ অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্মিথ বলেছেন, কার্যত কিছুই কাজ করছে না। অবশ্যই পরপর পাঁচটি পরাজয়ে স্বাভাবিক ভাবেই দল পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এটাই স্বাভাবিক। তবে পরি¯ি’তি পরিবর্তনে আমরা কাজ শুরু করেছি। তবে এই মুহূর্তে আমাদের কাছে এর কোন উত্তর নেই। আমরা কোন কিছুর গভীরে যাইনি, নিজেদের মাঠে উইকেট নিয়ে কাজ করিনি, আসলে এখানে অনেক কিছুই পরিবর্তন হওয়া জরুরি।মঙ্গলবার দিনের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা আবারো দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছে। কেইল এ্যাবট ও কাগিসো রাবাদা সামনে থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর মধ্যে এ্যাবট ৭৭ রানে ৬টি ও তরুন রাবাদা ৩৪ রানে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। চতুর্থ দিনের শুরুর ২০ মিনিটের মধ্যেই উসমান খাজা আউট হবার পরে ব্যাটসম্যানদের শুধু যাওয়া আসা দেখতে হয়েছে। এ্যাবটের অফ দ্য পিচ বলে দুইবার খাজা পরাস্ত হবার পরে শেষ পর্যন্ত ওভারের শেষ বলে ৬৪ রানে উইকেটের পিছনে কুইন্টন ডি ককের হাতে নিজেকে সপে দিতে বাধ্য হয়েছেন। রোববার টেস্টের দ্বিতীয় দিনটি পুরোটাই বৃষ্ঠিতে ভেসে গিয়েছিল। সে কারণে তৃতীয় দিনে স্মিথ ও খাজার ৫০ রানের পার্টনারশীপই স্বাগতিকদের ইনিংস কিছুটা এগিয়ে নিয়ে গেছে। শেষ ১০টি ইনিংসে মাত্র ৪৭ রান করা এ্যাডাম ভোগেস এরপর নিজের ক্যারিয়ার বাঁচানোর চূড়ান্ত চাপ নিয়ে ক্রিজে আসে। কিন্তু প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া ভোগেস আরেকবার নিজের ব্যর্থতা প্রমাণের জন্যই যেন মাঠে এসেছিলেন। ঐ এ্যাবোটের বলেই মাত্র ২ রানে গালিতে জেপি ডুমিনির হাতে নিজেকে সপে দিয়ে সাজঘরে ফিরেন। অভিষিক্ত ক্যালাম ফার্গুসনও তিন রানে স্লিপে ডিন এলগারের হাতে রাবাদার শিকারে পরিণত হন। উইকেটরক্ষক পিটার নেভিল রাবাদার বাউন্সার বুঝতেই পারেননি। মাত্র ৬ রানে আবারো গালিতে ডুমিনির হাতে ধরা পড়েন। জো মেনি মাত্র দুই বল পরেই রাবাদার এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন। এরপর ৩১ রানে স্মিথ রাবাদার শিকারে পরিনত হলে কার্যত অস্ট্রেলিয়ার পরাজয় সময়ে ব্যপার হয়ে দাঁড়ায়। মিশেল স্টার্ক শূন্য রানে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরে গেলে এ্যাবট পঞ্চম উইকেট শিকার করেণ। এরপর ন্যাথান লিঁওকে ফেরাতে ম্যাচ সেরা এ্যাবট খুব একটা সময় নেননি।