%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a7%a8%e0%a7%a9-%e0%a6%ac%e0%a6%9b%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be

ভেজাল প্যারাসিটামল খাওয়ার পর শিশু মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় রিড ফার্মাসিউটিক্যালসের মালিকসহ পাঁচ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। সোমবার ঢাকার ড্রাগ আদালতের বিচারক এম আতোয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি তদন্তে গাফিলতি ছিল। তাই আসামিদের খালাস দেয়া হলো।খালাস পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন: রিড ফার্মার মালিক মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী পরিচালক শিউলি রহমান, পরিচালক আবদুল গণি, ফার্মাসিস্ট মাহবুবুল ইসলাম ও এনামুল হক। পাঁচ জনের মধ্যে তিন জন পলাতক রয়েছেন। আদালতে উপস্থিত ছিলেন মিজানুর ও শিউলি। ভেজাল প্যারাসিটামল সেবনে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় সাত বছর আগে রীড ফার্মাসিউটিক্যালসের বিরুদ্ধে করা মামলায় পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দিয়েছে আদালত।

ঢাকার ঔষধ আদালতের বিচারক আতোয়ার রহমান সোমবার এই রায় ঘোষণা করে বলেন, মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তার ‘অযোগ্যতা ও অদক্ষতার কারণে’ অভিযোগ প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। পাঁচ আসামির মধ্যে রীড ফার্মার মালিক মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী কোম্পানির পরিচালক শিউলি রহমান রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।আর কোম্পানির পরিচালক আব্দুল গণি, ফার্মাসিস্ট মাহবুবুল ইসলাম ও এনামুল হক পলাতক।রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম সঠিক নিয়ম মেনে জব্দ তালিকা ও পরীক্ষার প্রতিবেদন জমা দেননি। মামলা দায়েরের সময় যেসব পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ ছিল, তা না নেওয়ায় তার অযোগ্যতা ও অদক্ষতা প্রমাণিত হয়।২০০৯ সালের জুন থেকে অগাস্ট পর্যন্ত রীড ফার্মার প্যারাসিটামল সিরাপ পানে সারাদেশে ২৮ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠলে ১০ অগাস্ট ঢাকার ঔষধ আদালতে এ মামলা হয়।তৎকালীন ড্রাগ সুপার শফিকুল ইসলাম মামলা করার পর সেদিনই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

ওই সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রীড ফার্মার বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা হয়।মিজানুর রহমান ওই বছরের ১২ অক্টোবর আত্মসমর্পণ করলে ঢাকার তৎকালীন জজ এ এন এম বশিরউল্লাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শিউলি হাই কোর্ট থেকে জামিন পান। অন্য তিন আসামি পলাতক থাকেন।মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, রীড ফার্মার প্যারাসিটামলে বিষাক্ত উপাদানের কারণে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে বলেন, ওই প্যারাসিটামলে ডাই ইথিলিন গ্লাইকল পাওয়া যায়নি। তবে ওই ওষুধ ছিল নিম্নমানের।আলোচিত এ মামলার বিচারকালে বাদী শফিকুল ইসলাম, ঢাকা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক এ আর খান, একই হাসপাতালের উপ-পরিচালক এইচ এস কে আলম, ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন, একই অধিদপ্তরের ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবের সহকারী বিশ্লেষক মো. আবু বকর সিদ্দিক রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন।এর আগে ভেজাল প্যারাসিটামল তৈরির দায়ে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডফ্লেম ফার্মাসিউটিক্যালসের অন্যতম মালিক, ব্যবস্থাপকসহ তিনজনকে ১০ বছর কারাদন্ড দেয় এই আদালত।

একই আদালত ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবনে ১৯৯২ সালে ৭৬ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ঔষধ আইনে করা আরেকটি মামলায় বিসিআই ফার্মার ছয় কর্তাব্যক্তিকে ১০ বছর করে কারাদন্ডদেয়।উল্লেখ, ২০০৯ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত রিড ফার্মার প্যারাসিটামল সিরাপ পানে সারাদেশে ২৮ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠলে ১০ আগস্ট ঢাকার ঔষধ আদালতে এ মামলা হয়।তৎকালীন ড্রাগ সুপার শফিকুল ইসলাম মামলা করার পর সেদিনই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। ওই সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রিড ফার্মার বিরুদ্ধে আরো চারটি মামলা করা হয়।

ওই বছরের ১২ অক্টোবর রিড ফার্মার মালিক মিজানুর রহমান আত্মসমর্পণ করলে ঢাকার তৎকালীন জজ এ এন এম বশিরউল্লাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শিউলি হাইকোর্ট জামিন পান তবে তিন আসামি পলাতক থাকেন।মামলার এজাহারে উঠে আসে, রিড ফার্মার প্যারাসিটামলে বিষাক্ত উপাদানের কারণে শিশু মৃত্যুোর ঘটনা ঘটেছে।কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে জমা দেয়া অভিযোগপত্রে বলেন,ওই প্যারাসিটামলে ডাই ইথানল গ্লাইকল পাওয়া যায়নি তবে ওই ওষুধ ছিল নিম্নমানের।আলোচিত এ মামলার বিচারকালে বাদী শফিকুল ইসলাম, ঢাকা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক এ আর খান, একই হাসপাতালের উপ-পরিচালক এইচ এস কে আলম, ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন, একই অধিদপ্তরের ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবের সহকারী বিশ্লেষক মো. আবু বকর সিদ্দিক রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন।কয়েকদিন আগে ঢাকা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক জাতীয় অধ্যাপক শিশু বিশেষজ্ঞ এম আর খান মারা যাওয়ার পর এ রায় আসলো।