%e0%a6%ae%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%b2-%e0%a6%b6%e0%a7%8b%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be

বাংলাদেশে বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম অনুসঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্েযর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।বুধবার ইউনেস্কোর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এর আগে ২০০৯ সালে বাউল সংগীত ও ২০১৩ সালে দ্য আর্ট অব জামদানি উইভিং ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেস্কোর সচিব মো. মনজুর হোসেন জানিয়েছেন, ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় ইউনেস্কোর একটি সভায় মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।এই স্বীকৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি সংস্কৃতি বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় আন্তঃদেশীয় কমিটির একাদশ বৈঠকে ‘রিপ্রেজেন্টেটিভ লিস্ট অফ ইনট্যানজিয়েবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউমিনিটি’র তালিকায় বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।গত শতকের ৮০ এর দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন শুরু হয়।তারপর থেকে প্রতিবছরই বর্ষবরণে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এতে উৎসাহিত হয়ে ঢাকার বাইরেও একই ধরনের শোভাযাত্রা বের হচ্ছে পহেলা বৈশাখে।চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু উৎসবের অনুসঙ্গই নয়, এর মধ্য দিয়ে বাঙালি সংস্কৃতিকে মেলে ধরার পাশাপাশি সমাজে অবক্ষয় থেকে মুক্তি, পেছনের দিকে হাঁটা প্রতিরোধের আহ্বানও জানানো হয়।বাংলাদেশের চার দশকের এই অনুষ্ঠান ইউনেস্কোর তালিকায় উঠে এখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল।