খুলনা মহানগরীর শেরে বাংলা সড়কের আমতলা এলাকার একটি বাড়িতে চিত্তরঞ্জন বাইন (৪৫) নামে এক কলেজ শিক্ষককে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা।জানাগেছে, শনিবার দিবাগত রাতে দুস্কৃতকারীরা জানালার গ্রীল কেটে ঘরে ঢুকে ওই শিক্ষককে হাত-পা ও মুখ বেধে হত্যার পর স্টীলের আলমিরা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্ণলংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে,তিনি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার কৈয়া এলাকার শহীদ শেখ আবু কাশেম স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।

খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) তাপস পাল জানান,হাত-পা ও মুখ বেঁধে তাকে খুন করা হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে।নিহত চিত্তরঞ্জন পালের ভাইপো বাপী গাইন জানান, তার জ্যাঠিমা লাকী গোলদার এক সপ্তাহ আগে পিতার বাড়ি বটিয়াঘাটা উপজেলার ঝড়ভাঙ্গা গ্রামে বেড়াতে যান। এসময় লাকী গোলদার তার দুই মেয়ে প্রমা (৮) ও ৬ মাস বয়সী মেয়ে প্রাপ্তিকেও সাথে নিয়ে যান। নগরীর শেরে বাংলা রোড আমতলার মোড়ে অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মো. আব্দুল মজিদের বাড়ির প্রথম তলার ভাড়া বাসায় রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন শিক্ষক চিত্তরঞ্জন বাইন।তিনি জানান,শনিবার দিবাগত রাতের যে কোন সময়ে দুস্কৃতকারীরা জানালার গ্রীল কেটে ঘরে ঢুকে চিত্তরঞ্জনের হাত-পা ও মুখ বেধে তাকে হত্যার পর স্টীলের আলমিরা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্ণলংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।

রোববার বেলা ১১টার দিকে স্ত্রী লাকি গোলদার চিত্তরঞ্জনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা রিসিভ হয়নি। এ ঘটনায় লাকী তার শ্বশুর রতন গোলদারকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে রতন গোলদার সেখানে গিয়ে চিত্তরঞ্জনকে ডাকাডাকি করলে ভিতর থেকে কোন সাড়া না পেয়ে ঘরের আশেপাশে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে দেখতে পান ঘরের জানালার গ্রীল কাটা। সেখানে দেখা যায় চিত্তরঞ্জন বাইন তার শয়নকক্ষে খাটের ওপর মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।রোববার বেলা ১২টার দিকে খবর পেয়ে খুলনা থানা পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল তৈরী ও বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন।খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক তাপস পাল বলেন, নিহত চিত্তরঞ্জনের দুই হাত, দুই পা ও মুখ বেধে ফেলে দুস্কৃতকারীরা। চিত্তরঞ্জনের মাথার ডান পাশে ও ডান পায়ে ভারী কোন বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তার মাথা ও পায়ে আঘাতে রক্ত জমে থাকার চিহ্ন দেখা গেছে।