সিরিয়ার আসাদ সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে একটি চুক্তির আওতায় চার শহর থেকে অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার সময় তাদের গাড়ি বহরের কাছে একটি শক্তিশালী গাড়ি বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ১১২ জনে দাঁড়িয়েছে।৭৫টি বাসের একটি বহর দাঁড়িয়েছিল উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার রাশিদিনের কাছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীর হাতে থাকা আলেপ্পোয় ঢোকার অপেক্ষায়। হঠাৎ সেই বাসের সারিতে বিস্ফোরণ আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলা চালানো হয়।সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যন রাইটস মনিবার হামলায় ৪৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছিল। তবে তারা রোববার বলেছে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ১১২ এবং আহত হয়েছে কয়েক শ।সংস্থা জানায়, নিহতদের মধ্যে অন্তত ৯৮ জন সরিয়ে আনা বাসিন্দা বাদবাকিরা ত্রাণকর্মী এবং গাড়ি বহরের পাহারায় নিয়োজিত বিদ্রোহী।সরকার নিয়ন্ত্রিত ফুয়া ও কাফরায়া এবং বিদ্রোহী অধিকৃত মাদায়া ও জাবাদানি শহরের বেসামরিক লোকদের দুর্ভোগ লাঘবে ইরান ও কাতারের মধ্যস্থতায় ‘চার শহর’ চুক্তি সম্পাদিত হয়।প্রায় ২০ হাজার অবরুদ্ধ মানুষকে চুক্তিটির আওতায় অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছিল।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সরকার নিয়ন্ত্রিত শহরের ৫ হাজার ও বিদ্রোহী অধিকৃত শহরের ২ হাজার ২শ’ বেসামরিক লোক রোববার গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষমান রয়েছে।সরকারপন্থীদের দখলে থাকা এলাকায় বিদ্রোহী এবং বিদ্রোহীদের এলাকায় থাকা সরকারপন্থী মানুষজনদের স্থানান্তরের কাজ শুরু হয় সবে গত কাল। সে দিনই এ নিয়ে বিদ্রোহী ও সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। কিন্তু তার পর দিনই এই হামলার ঘটনায় সেই চুক্তির ভবিষ্যৎই প্রশ্নের মুখে পড়েছে।বিদ্রোহীদের দখলে থাকা কাফরায়া ও আল-ফুয়া গ্রামের অন্তত ৫০০০ শিশু ও নারী-পুরুষ বাসে করে রওনা হয়েছিলেন আলেপ্পোর উদ্দেশে।শহরের অদূরে রাশিদিনে থামে ওই কনভয়। সাময়িক বিরতির পরে গাড়ির যাত্রীরা আবার বাসে ওঠার সময় ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। যে বিদ্রোহীরা পাহারা দিয়ে তাঁদের আনছিলেন তাদেরও অনেকে মারা যান। পরে বাকিদের আলোপ্পোয় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই এলাকায় আল কায়দা সক্রিয় থাকলেও কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এর দায় স্বীকার করেনি।