গত ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে আমদানি, রপ্তানী ও ইন্ডেন্টিং নিবন্ধন সনদপত্র ইস্যু ও নবায়নের বিপরীতে গ্রাহকের কাছ থেকে আদায়কৃত ফিয়ের উপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করে তা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করতে হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২৩ এপ্রিল এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, গত ২০১৫ সালে উল্লেখিত সেবার বিপরীতে ফিয়ের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট কেটে তা সরকারী কোষগারে জমা দিতে আমদানি-রপ্তানী প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে চিঠি পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ওই চিঠিতে ৫ বছর আগে থেকে অর্থাৎ ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে এই খাত যে পরিমান ফি আদায় হয়েছে তার উপর সমুদয় ভ্যাট জমা দিতে বলা হয়। গত বছর ৯ জুন এক রিটের প্রেক্ষিতে ওই চিঠি স্থগিত করে ভ্যাট আদায়ে কার্যক্রম বন্ধ রাখার অন্তবর্তীকালীন আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর আগে গত বৃহস্পতিবার আইএমএফ সদর দপ্তরে ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিটসুহিরো ফুরুসাওয়ার সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন ভ্যাট আইনে প্রথম দুই বছর ১৫ শতাংশ হারেই ভ্যাট রাখা হবে বলে জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের এই ‘মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইন’ কার্যকর করার কথা ছিল গত বছরের ১ জুলাই থেকে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে তা পিছিয়ে দেয় সরকার। তখন বিদ্যমান প্যাকেজ ভ্যাটের হার বাড়িয়ে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট নেয়া হবে।