বান্দরবান শহরের বিভিন্ন জায়গায় এখন শোভা পাচ্ছে সোলার স্ট্রিট লাইট। কোন বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই শুধু মাত্র সূর্যের আলো থেকে শক্তি সংগ্রহ করে তা দিয়ে আলোকিত হয়ে উঠেছে রাতের বান্দরবান। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে পৌর এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের ৭০টি স্ট্রিট লাইট লাগানো হয়েছে। সেই সাথে শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে ১০০টি আধুনিক ডাস্টবিন তৈরী করে দেয়া হয়েছে। বান্দরবান ও লামা পৌরসভায় মোট ১৫০টি এ ধরনের ডাস্টবিন বসানো হয়েছে উন্নয়ন বোর্ড থেকে। সোলার ষ্ট্রিট লাইট প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। অন্যদিকে ডাস্টবিন বসানো খাতে ব্যায় হয়েছে ২৩ লাখ টাকা। বান্দরবান শহরের কাছে লাল ব্যজি এলাকার বাসিন্দা মো. সোলেমান জানান, আগে পৌরসভার বাতি থাকলেও প্রায় সময় বিদ্যুৎ না থাকায় সেগুলো ঠিকমত জ্বলেনা। ফলে রাতে চলাফেরা করতে মানুষের সমস্যা হতো। এখন বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই চলছে সোলার লাইটগুলো।

রক্ষনাবেক্ষণ খরচও তুলনামূলক কম। অন্যদিকে শহরের হাফেজ ঘোনা এলাকার বাসিন্দা নুরুন্নাহার জানান, রাতে ছেলে মেয়েদের চলাচল করতে সমস্যা হতো। শিক্ষকদের কাছে পড়ালেখা করতে যেতে চাইতো না তারা। কিন্তু এখন নতুন বসানো সোলার লাইট এই সমস্যাগুলো সমাধান করে দিয়েছে। মানুষ এখন রাতে স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারছে। বান্দরবান পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় এখন এই সোলার স্ট্রিট লাইট বসানো হয়েছে। যে সব জায়গায় মানুষের চলাফেরা করতে সমস্যা হতো সে সব জায়গাগুলোতেই সোলার লাইট বসানো হয়েছে। এতে করে শহরে বিদ্যুৎ খরচও কম লাগছে। পৌর এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, বিদ্যুৎ থাকা অবস্থায় রাতে পৌরসভার লাইটগুলো জ্বলে। কোন কোন এলাকায় লাইটগুলো খারাপও হয়ে যায়। এ সময়ে সোলার লাইটগুলো ভাল কাজ দিচ্ছে। সুফলভোগীরা জানান, রাতের লাইটগুলো দেখলে মনেই হবেনা বিদ্যুৎ নেই। লোডশেডিং এর সময়ে সোলার লাইটগুলো আলোকিত করে তুলছে অন্ধাকারাচ্ছন্ন এলাকা। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আজিজ জানান, পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির নির্দেশে সাধারন মানুষের সুবিধায় শহরের বিভিন্ন জায়গায় সোলার স্ট্রিট লাইট ও ডাস্টবিনগুলো বসানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলাগুলোতেও এই প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। মূলত বিদ্যুৎ না থাকা অবস্থায় সাধারন মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারে সে জন্যই এই লাইটগুলো লাগানো হয়েছে। বান্দরবান পৌরসভার সচিব তৌহিদুল ইসলাম জানান, পৌরসভার নিজস্ব বাতিগুলোর পাশাপাশি জনগণের বাড়তি সুবিধার জন্য সোলার স্ট্রিট লাইটগুলো উন্নয়ন বোর্ড থেকে বসানো হয়েছে। বিশেষ করে রাতে যখন বিদ্যুৎ থাকেনা সে সময়ে বাতিগুলো উপকারে আসছে। এতে করে পৌরবাসীর বাড়তি সুবিধার পাশাপাশি শহরের সৌন্দর্যও অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।