আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মেট্রোরেলের কাজ যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে আশা করছি আগামী ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এর বাণিজ্যিক পরিচালনা শুরু হবে। তিনি আজ সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে এ বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ।

সেতুমন্ত্রী বলেন, গত বছরের জুলাইতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারীর জঙ্গী হামলার ঘটনার পর মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ কিছুটা পিছিয়ে পড়ে। এখন সেটা পূরণের লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে চলেছে। যথাসময়ে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের স্বার্থে এবং যানজট নিরসনে মেট্রোরেলের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি। এটি নির্মাণে জনগণের কিছুটা দুর্ভোগ হচ্ছে, তবে উন্নয়নের স্বার্থে এ দুর্ভোগের মাত্রা কমাতে এবং সহনীয় মাত্রায় রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে আশ্বাস দিয়েছেন, তা থেকে বোঝা যায়- শেখ হাসিনা সরকারের আমলে যথাসময়ে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন করা হবে।  এর আগে ‘ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ নির্মাণের লক্ষ্যে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সঙ্গে যৌথভাবে ইতালিয়ান দু’টি কোম্পানীর সঙ্গে সিপি-২.সিপি-৩ ও সিপি-৪ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এরমধ্যে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)’র প্রকল্প সহায়তা ৭৫ শতাংশ এবং বাংলাদেশ সরকার ২৫ শতাংশ ব্যয়ভার বহন করবে। মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ২০ কিলোমিটার, উত্তরা এলাকার উত্তর থেকে মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত এলিভেটর সিস্টেম থাকবে। এ মেট্রোরেলের যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা হবে উভয় দিকে ঘন্টায় ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে। এরমধ্যে উত্তরা-উত্তর, উত্তরা-সেন্টার, উত্তরা-দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয়স্বরনী, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় এবং মতিঝিলে ১৬টি স্টেশন থাকবে। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কোম্পানী ও ইতালিয়ান কোম্পানীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।