সরকারি কর্মচারীদের চেয়ে বেতন ‘বেশি’ হওয়ায় সাংবাদিকদের জন্য আর কোনো ওয়েজ বোর্ডের ‘দরকারই নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।নতুন বেতন কাঠামোর দাবিতে সংবাদকর্মীদের আন্দোলনের মধ্যে মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই মন্তব্য করেন তিনি।

মুহিত সাংবাদিকদের বলেন, সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ড আননেসেসারি, টোটালি আননেসেসারি। বিকজ ইয়োরস স্যালারি স্কেলস আর বেটার দ্যান গভর্নমেন্ট স্যালারি স্কেলস (সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড অপ্রয়োজনীয়, পুরোপুরি অপ্রয়োজনীয়। কারণ বর্তমানে আপনাদের বেতন কাঠামো সরকারি বেতন কাঠামোর চেয়ে বেশি)।সরকারি চাকুরেদের পেনশন পাওয়ার বিষয়টি একজন সাংবাদিক অর্থমন্ত্রীকে জানালে তিনি বলেন, মাস্টার্স পাস করে আমাদের পিয়নও আছে। আপনাদের পাঁচটি বেতন গ্রেড আছে।

সাংবাদিকদের সর্বশেষ বেতন কাঠামো হয়েছিল ২০১২ সালে; এরপর সরকারি চাকুরেদের বেতন বাড়ার পর সংবাদকর্মীদের আন্দোলনে নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।কিন্তু সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব তাদের প্রতিনিধির নাম না দেওয়ায় বোর্ড গঠন করা যাচ্ছে না বলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।মুহিতের কথা শোনার পর এক সাংবাদিক ‘পত্রিকার মালিকরা আপনাকে ভুল বুঝিয়েছে’ বলার পর তিনি বলেন, আপনারা একজন বা দুজন দায়িত্ব নেন, আপনাদের স্যালারি গ্রেড আমাকে দেন। টেলিভিশনে ওয়েজ বোর্ড নেই, আর সব পত্রিকায়ও ওয়েজ বোর্ড কার্যকর নেই- এটা জানানোর পর পাল্টা প্রশ্নে মুহিত জানতে চান, ঢাকায় কয়টি দৈনিক পত্রিকা আছে?একজন সাংবাদিক উত্তরে ‘২০১টি’ বললে মুহিত চেঁচিয়ে বলেন, “রাবিশ, ইটস মাই আনসার টু ইউ। রাবিশ। ২০১?চিৎকার করে কথা বলার সময় অশীতিপর অর্থমন্ত্রীর শরীর কাঁপছিল। তাকে থামানোর উদ্যোগ নেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।মুহিতের ঘাড়ের পাশে দাঁড়িয়ে ইনু বলেন, স্যার ঠিক আছে।মুহিত এরপর বলেন, ১৫টি হবে কি না আমার সন্দেহ আছে, ২০টি হতে পারে বড়জোড়। এই যে পাঁচশ কতটা কী আছে খবরের কাগজ, অল বোগাস, ওদের জন্য বেতন স্কেল ঠিক করব? নো, নট অ্যাটঅল। আই উয়িল ফিক্সড দি বেতন স্কেল ফর দিস ফিফটিন অর টুয়েন্টি নিউজ পেপারস, যেখানে মানুষজন কাজ করে এবং এগুলোতে কি স্যালারি স্কেল আছে আমাকে একটা দ্যান।