সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সহায় সম্বল হারিয়েছেন, তাদের পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে, থাকবে।তিনি বলেন, আমরা হাওয়ায় কথা বলি না, বিএনপির মতো অন্ধকারে ঢিল ছুড়ি না। আমাদের আগমন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন, লোক দেখানো ফটোসেশন নয়।বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশে কাদের বলেন, কথা দিয়ে গেলাম ত্রাণ তৎপরতা চলবে, মেডিক্যাল টিম কাজ করবে, পুনর্বাসন হবে। আপনারা কোন চিন্তা করবেন না, আপনাদের পাশে আমরা আছি।

ওবায়দুল কাদের শুক্রবার সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় পৌর শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সৈয়দপুর উপজেলার কুন্দল এলাকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩শ’ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল ও ৫শ’ করে টাকা বিতরণ করেন। সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্বাস আলী সরকারের সভাপতিত্বে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।বিএনপি’র নেতারা অনেকে এলাকাতেই আসেন,তারা কোন ত্রান প্রদান করেন না এবং ক্ষতিগ্রস্তদের শুধু ভাষণ শুনতে হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা হাওরে, উপকুলে যাননি, পাহাড়ে গিয়ে নাটক করে মাঝ পথ থেকে ফিরে এসেছেন। সৈয়দপুরে এসেও ফটো সেশন করে চলে গিয়েছেন। এরপরও ধন্যবাদ জানাই, তাদের নেতা অন্তত নিজের বাড়ির এলাকার মানুষদের সাথে দেখা করে গেছেন।তিনি বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে সুপ্রিম কোটের দেয়া রায়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, উড়ে এসে জুড়ে বসা এবং দেশকে ‘ব্যানানা রিপাবলিক’ বানানোর কথা উল্লেখ রয়েছে। বিএনপি এ রায় মেনে নিয়েছেন।ত্রাণ বিতরণ শেষে সড়ক পথে তিনি দিনাজপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান।