মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে আসা রো‌হিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে প্রায় ৪০০ কো‌টি টাকার গাছ কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প‌রিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্প‌র্কিত সংসদীয় স্থায়ী ক‌মিটির সভাপ‌তি ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার বিকেলে সংসদীয় ক‌মি‌টির বৈঠক শেষে সংসদের মি‌ডিয়া সেন্টারে একথা বলেন তি‌নি।এ সময় উপ‌স্থতি ছিলেন ক‌মিটি সদস্য নবী নেওয়াজ ও ইয়া‌ছিন চৌধুরী। হাছান মাহমুদ বলেন, রো‌হিঙ্গাদের আগমনে এ পর্যন্ত ৩৯৬ কো‌টি অর্থাৎ প্রায় ৪০০ কো‌টি টাকার গাছ কাটা হয়েছে। তবে প‌রিবেশ ও বনের অন্যান্য ক্ষ‌তি ধরে প্রায় হাজার কো‌টি টাকার ক্ষ‌তি হয়েছে। এজন্য মন্ত্রণালয়কে অচিরেই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেওয়ার তা‌গিদ দিয়েছে ক‌মি‌টি।সভাপতি বলেন, বনা লের গাছের অন্যান্য মূলধরা হলে শুধু ৪০০ কোটি নয়, এর সঙ্গে আরো কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এরমই মধ্যে মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের জন্য ৭ হাজার একর বনভূমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বা তাদের দখলে আছে। এজন্য বন বিভাগকে বলা হয়েছে, আসলে কত কোটি টাকার বনা ল ক্ষতি হয়েছে। আর এই বন পুন:রুদ্ধাদের কত কোটি টাকার গাছ লাগাতে হবে সেসব বিষয় নিরূপণ করে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যার নিয়ে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর গণমাধ্যমে দেওয়া কথা উল্লেখ করে সভাপতি বলেন, মন্ত্রী এর আগে গণমাধ্যমে বলেছেন কিছু বাঘ ভারতে বেড়াতে গিয়েছিল, আবার ফিরে আসায় সংখ্যা বাড়ছে। বাঘ কেনইবা বেড়াতে গেল, আর কেনইবা ফেরত এলো- এসব বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী আমাদের অ লে ১০৬টি বা ১১০টি বাঘ রয়েছে। আর সম্প্রতিকালে আরেকটি সমীক্ষা হয়েছে, সেই সমীক্ষা দেখা গেছে বাঘ আছে ১২১টি। আসলে বাঘের সংখ্যা কত? সঠিক তথ্য বন বিভাগে নেই। তাই আমরা বলেছি, এরইমধ্যে যেসব সমীক্ষা বা রিপোর্ট আছে সেগুলোর ভিত্তিতে আর বন বিভাগ নিজ উদ্যেগে একটি সমীক্ষা করে বাঘের সংখ্যার এই অস্পষ্টতা বা অস্বচ্ছতা নিরসন করতে হবে। বন বিভাগের পাশাপাশি সংসদীয় কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি সমীক্ষা করার কথাও বলা হয়েছে। এছাড়া বন্য অর্কিড যেন নির্বিচারে বাজারে বিক্রি করতে না পারে সেজন্য বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।