আইনি প্রক্রিয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে অন্যপন্থায় মুক্ত করে আনা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ হুশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। তাকে মুক্ত করতে যা যা করা প্রয়োজন আমাদের তাই করতে হবে। তার জন্য সর্বোচ্চ যে পর্যায়ে যাওয়া প্রয়োজন সেখানেই যেতে হবে।

সরকার দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র শেষ, বিচার বিভাগ শেষ, পার্লামেন্ট আগে থেকেই নেই। শেয়ারবাজার, ব্যাংক লুট করেছে। এসবের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আন্দোলন করছিলেন বলেই তাকে কারাগারে বন্দি করা হয়েছে। একটি পরিত্যক্ত কারাগারে তাকে বন্দি করা হয়েছে। তিনি অসুস্থ। তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে নেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন ডাক্তাররা। কিন্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি।প্রবীণ এ শ্রমিক নেতা বলেন, আমরা রাজনীতি করি। তাই প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারি, শত্র“ নয়। সরকার যেভাবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আচরণ করছে তা কোনোভাবে আশা করা যায় না। খালেদা জিয়াকে আপনারা ভয় পান বলেই এসব করছেন। কারণ তিনি জনগণের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তাকে মুক্ত করে আনার জন্য আইনি প্রক্রিয়ায় না হলে আমরা অন্যপন্থায় যাবো। আর সে পš’া হবে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক আন্দোলন। আগামী দিনে শক্তিশালী আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমরা আইয়ুব ও ইয়াহিয়া খানকে পতন করেছি। কিন্তু আজ আমাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী। যারা ১৯৭৫ ও ১৯৮২ সালে গণতন্ত্র হরণ করেছিলো, তারা এক হয়েছে। তাদের পতন করতে হবে।

সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করতে পারে, প্রতিপক্ষ মনে করতে পারে কিন্তু যে আচরণ তার সঙ্গে করছে সে আচরণ শত্রুর আচরণ। বাংলাদেশের জনগণ দেখছে সব কিছু। কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে নজরুল বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে সাজানো মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রীকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। পরিত্যক্ত কারাগারে তাকে রাখা হয়েছে; তিনি অসুস্থ হলেও সরকার চিকিৎসার উদ্যোগ নিচ্ছে না।খালেদা জিয়াকে সরকার ‘ভয় পায়’ বলেই তার প্রতি নির্মম আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেন নজরুল।সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেইনের সভাপতিত্বে এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম মনজুরের পরিচালনায় আলোচনা সভায় শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মেহেদি আলী খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মোল্লা, আসাদুজ্জামান বাবুল, মফিদুল ইসলাম মোহন, খন্দকার জুলফিকার মতিন, সুমন ভুঁইয়া ও মাহবুবুল আলম বাদল বক্তব্য দেন।