গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক্টরের সংঘর্ষে শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও অন্তত ১০ জন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অদূরে মহদিপুরের রাইচমিল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাসের অধিকাংশ যাত্রীই শ্রমিক। ঈদের ছুটি শেষে তারা ঢাকায় ফিরছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে ঢাকায় কর্মরত শ্রমিকরা সাউদিয়া পরিবহনের (দরবার) একটি বাসে করে গাইবান্ধার সাঘাটা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত পৌনে ১২টার দিকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সময় বাসটি রাইচমিল এলাকায় পৌঁছালে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা হাবিবা হালিম ফুডস পরিবহন নামে একটি টাক্টরের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি সড়কের পাশে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এক পর্যায়ে খুঁটি হেলে গেলে বাসটি উল্টে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর শিশুসহ আরও দুইজন নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে।

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও ট্রাক্টরটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বাস ও ট্রাক্টরের চালক ও সহকারীরা পালিয়ে গেছে। দ্রুত গতি ও চালকের অসাবধানতার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে চালক ও সহকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা। গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আখতারুজ্জামান জানান, নিহতদের লাশ হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তের পর লাশগুলো পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে।