গাজীপুরে পরকীয়ার জেরে রবিবার গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে এক রাজ মিস্ত্রিকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মা ও ভাইসহ এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের নাম তারা মিয়া (৩২)। সে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার দড়িচন এলাকার গফুর মিয়ার ছেলে।

জয়দেবপুর থানার পূবাইল ফাঁড়ির এসআই মো. সফিকুল আলম ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে পূবাইলের মাজুখান মধ্যপাড়া এলাকার আলা উদ্দিনের সঙ্গে প্রায় ৯ বছর আগে পার্শ্ববর্তী বড় কয়ের গ্রামের কফিল উদ্দিনের মেয়ে আকলিমার বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছরের মাথায় একটি ছেলে সন্তান রেখে আলাউদ্দিন মারা যায়। স্বামীর অবর্তমানে বিধবা আকলিমার (২৬) সঙ্গে তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া তারা মিয়ার (৩২) প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। আলাউদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থেকে এলাকায় রাজমিস্ত্রীর সহকারীর কাজ করতো তারা মিয়া। আকলিমার সঙ্গে পরকীয়ার ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে গত ২ মাস আগে তারা মিয়া পার্শ্ববর্তী ফারুকের বাড়ি ভাড়া নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে বসবাস শুরু করে। কিন্তু তাদের প্রেমের সম্পর্ক অব্যহত থাকায় আকলিমার স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়। এর জেরে রবিবার সকালে আকলিমার পরিবারের লোকজন তারা মিয়াকে তাদের বাড়িতে ডেকে আনে। এসময় তারা মিয়াকে একটি আম গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক গণপিটুনী দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় তারা মিয়া। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আলাউদ্দিনের বিধবা স্ত্রী আকলিমা (২৬), আকলিমার মা মনোয়ারা বেগম (৬৫) ও ভাই মাজেদুল ইসলামকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে আকলিমার বাড়ির অন্য লোকজন পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।