মানুষের ব্যক্তিত্ব বোঝা যায় তার পোশক-আশাকে। মুসলিমদের অন্য ধর্মাবলম্বীদের থেকে আলাদা করতে এবং তাদের মধ্যে ঐক্য ও শৃঙ্খলা তৈরি করতে আল্লাহ তাদের নির্দিষ্ট একটি ইউনিফর্ম দিয়েছেন। পুরুষের ইউনিফর্ম হলো ঢিলেঢালা পুরুষালী পোশাক, যা পায়ের গোড়ালির উপর থাকবে। মুখে থাকবে প্রাকৃতিক দাড়ি, গোঁফ ছেটে রাখা হবে। কিন্তু ইসলামি ইউনিফর্মের দাড়ি অংশটাকে সাধারণ মুসলিমরা তো বটেই, অনেক নিষ্ঠাবান মুসলিম পর্যন্ত অবহেলা করে থাকে। অথচ দাড়ি কেটে একজন মানুষ অনেক ভাবে ইসলাম লঙ্ঘন করে থাকে । অথচ আমাদের দেশে দাড়ি রাখা সম্পর্কে একটি ভ্রান্ত ধারণা আছে, সেটা হল ”দাড়ি রাখা সুন্নত; অতএব দাড়ি রাখলে ভাল আর না রাখলেতেমন কোন সমস্যা নেই, একটা সুন্নত পালন করা হল না এই আর কি।” জেনে রাখুন, এটা সম্পূর্ণ একটা ভুল ধারণা। দাড়ি রাখা কোন অর্থে সুন্নত আর কোন অর্থে ফরয বা ওয়াজিব আগে সেটা বুঝার চেষ্টা করুন। ইসলামে শরীয়তের বিধানের প্রধান সুত্র হচ্ছে কুরআন ও রাসুল (সাঃ) এর সহীহ সুন্নাহ অর্থাৎ সহীহ হাদিস। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্পাক যেসকল বিষয়ে আদেশ দিয়েছন ও নিষেধ করেছেন তা পালন করা আমাদের জন্য ফরয। আশা করি বিষয়টি সকলের কাছেই পরিষ্কার অর্থাৎ বুঝতে কষ্ট হবার কথা নয়।

অথচ দাড়ি হলো ইসলামের একটা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আধুনিক আমেরিকান বিজ্ঞানীরাও একথা বলতে বাধ্য হয়েছেন যে, গোফঁ কাটার দরুন চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পায়। দাড়ি বৃদ্ধির ফলে মানুষের যৌবনত্ব বৃদ্ধি পায়। দাড়ি রাখা সম্পর্কে উলামাগনের কেউ বলেছেন যে, দাড়ি রাখা ফরয। কারণ রাসূল সাঃ আল্লাহর নির্দেশ ব্যতিত কোনো কথা বলতেন না। আর তাই দাড়ি রাখার ব্যাপারে রাসূল সাঃ এর নির্দেশ মানে আল্লাহর নির্দেশ। আবার কেউ বলেছেন যে, দাড়ি রাখা ওয়াজিব, আবার কেউ বলেছেন সুন্নাতে মুয়াাক্কাদা। আল্লাহ ভালো জানেন।

আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বহু আয়াতে রাসূল সাঃ এর নির্দেশ মেনে চলার জন্য আমাদের বলেছেন। তার মানে হলো, রাসূল সাঃ যে সকল বিষয়ে আমাদের আদেশ ও নিষেধ করেছেন, তা মেনে চলাও আমাদের জন্য ফরয ওয়াজিব । কুরআনের আয়াতগুলো তুলে ধরলাম।

* “রাসূলের আহ্বানকে তোমরা তোমাদের একে অপরকে আহ্বানের মতো গণ্য করো না। আল্লাহ তাদেরকে জানেন, যারা তোমাদের মধ্যে চুপিসারে সরে পড়ে। অতএব যারা তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে, তারা এ বিষয়ে সতর্ক হোক যে, বিপর্যয় তাদেরকে স্পর্শ করবে অথবা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করবে।” [সূরা আন-নুর :৬৩]

* “আর তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রাসূলের, যাতে তোমাদের উপর রহমত করা হয়।” [সূরা আল-ইমরান :১৩২]
* ‘‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাসো, তাহলে আমাকে (মুহাম্মাদ সাঃ ) অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহও তোমাদিগকে ভালোবাসেন।” [সূরা আল-ইমরান :৩১]
* “হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হইওনা।” [সূরাহ আল-আনফাল :২০]
* “আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোনো কাজের আদেশ করলে কোনো ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয় ।” [সূরা আল-আহযাব :৩৬]
* “বলুন আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর। অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে তার উপর ন্যস্ত দায়িত্বের জন্যে সে দায়ী এবং তোমাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্বের জন্যে তোমরা দায়ী। তোমরা যদি তাঁর আনুগত্য কর, তবে সৎ পথ পাবে। রাসূলের দায়িত্ব তো কেবল সুস্পষ্টরূপে পৌঁছে দেওয়া ।” [সূরা আন-নূর :৫৪]
* ”রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাকো এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।” [সূরা আল-হাশর : ৭]

পবিত্র কুরআনে সরাসরি দাড়ি রাখার কথা বলা হয়নি। তবে হারুন (‘আলাইহিসসালাম) এর ঘটনায় দাড়ির কথা উল্লেখ রয়েছে। কুরআনে দাড়ি সম্পর্কিত আয়াতটি হলো মূসা (আঃ) তাঁর কওমের নিকট ফিরে এসে যখন দেখলেন তাঁর কওম গোমরা হয়ে গেছে, তখন তিনি হারুন (আঃ)-কে প্রশ্ন করলেন এবং হারুন (আঃ) জবাবে বলেন, “হে আমার মায়ের ছেলে! আমার দাড়ি ধরো না এবং আমার মাথার চুলও টেনো না।” [সূরা ত্বোয়া-হা : ৯৪] এখানে বুঝা যাচ্ছে হারুন (আঃ) এর দাড়ি ছিলো আর মূসা (আঃ) তাঁর দাড়ি ধরেছিলেন।

আল্লাহর রাসূল সাঃ দাড়ি রাখার আদেশ করেছেন। এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা দরকার, দাড়ির বিধানটি শারি’আতের একটি মৌলিক ও সাধারণ বিধান। একে নিছক আরবীয় রীতি বা বিশেষ স্থান-কালের মধ্যে সীমাবদ্ধ মনে করা মারাত্মক ভ্রান্তি।
সব কিছু আল্লাহ জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্ট করেছেন-

* আমি প্রত্যেক বস্তু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি, যাতে তোমরা হৃদয়ঙ্গম কর। [সূরা আয-যারিয়াত: ৪৯]
* পবিত্র তিনি, যিনি জমিন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে, মানুষকে এবং যা তারা জানে না, তার প্রত্যেককে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন। [সূরা ইয়াসীন : ৩৬]
* আমি (আল্লাহ) তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি [সূরা আন-নাবা : ৮]
উপরের আযাত অনুযায়ী দাড়ির মাধ্যমে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়-
১) দাড়িযুক্ত মানুষ (পুরুষ) ও
২) দাড়িবিহীন মানুষ (মহিলা)

কোনো পুরুষকে যদি বলা হয় আপনি কি মহিলা হতে চান? কোনো বিবেকবান লোকই তা চাইবে না । তাহলে আমরা কেন আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশের বিপরীত কাজ করি অর্থাৎ দাড়ি ক্লিন করে মহিলাদের আকার ধারন করি!
আল্লাহ বলেন, “ আল্লাহর সৃষ্টির কোনো পরিবর্তন নেই।” [সূরা আর রুম : ৩০]

এ প্রসঙ্গে শয়তানের একটা উদ্ধত ঘোষণাও আল্লাহ তা’আলা বান্দাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, শয়তান বললো, “আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট অংশ গ্রহণ করবো। তাদেরকে পথভ্রষ্ট করবো, তাদেরকে আশ্বাস দেবো; তাদেরকে পশুদের কর্ণ ছেদন করতে বলবো এবং তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ দেবো। যে কেউ আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়। এবং তাদেরকে আদেশ করবো, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করবে।” [সূরা আন-নিসা ১১৮-১১৯]

আয়াতের এ অংশের আলোচনায় শাববীর আহমদ উসমানী রাহ. বলেছেন, ‘দাড়ি মুড়ানোও এ আকৃতি পরিবর্তনের মধ্যে পড়ে।’ [তাফসীরে উসমানী (মূল) পৃ. ১২৫; (অনুবাদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১/৪৪৬)] আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করার প্রসঙ্গে তাফসীরে বায়ানুল কুরআনে বলা হয়েছে, এটা ফাসেকী কাজকর্মের অন্তর্ভুক্ত। যেমন দাড়ি মুড়ানো, শরীরে উল্কি আঁকা ইত্যাদি। ( তাফসীরে বায়ানুল কুরআন ১/২/১৫৭)

দাড়ি রাখার ব্যাপারে রাসূল সাঃ এর নির্দেশ ঃ

* ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, “তোমরা মুশরিকদের বিপরীত করবে। দাড়ি লম্বা রাখবে, গোঁফ ছোট করবে।” [ সহিহ বুখারী, নবম খন্ড, হাদীস নং ৫৪৭২, ইফা ]
* হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ গোঁফ নিশ্চিহ্ন করতে, আর দাড়ি বড় করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬২৪ ]
* হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, তোমরা গোঁফকে কর্তন কর, এবং দাড়িকে লম্বা কর। তোমরা অগ্নিপূজকদের বিপরীত কর। {সহীহ
মুসলিম, হাদীস নং-৬২৬}
* হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন যে, আল্লাহর ভর্ৎসনা ঐ সব পুরুষদের উপর যারা মহিলাদের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে এবং ঐ সব মহিলাদের উপর আল্লাহ তাআলার ভর্ৎসনা যারা পুরুষদের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৫৪৬, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৭৫]
দাড়ি থাকা পুরুষের নিদর্শন। আর দাড়ি না থাকা মহিলাদের নিদর্শন। তাই দাড়ি কেটে মহিলাদের সাদৃশ্য গ্রহণ এ হাদীসের ভাষায় নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
* রাসূল সাঃ এর যুগে মুশরিক ও অগ্নি উপাসকদের মধ্যে দাড়ি ছোট করে রাখা বা দাড়ি মুন্ডন করার রীতি প্রচলিত ছিল। রাসূলুল্লাহ সাঃ তার উম্মতকে বিশেষভাবে এ সকল অমুসলিম সম্প্রদায়রে বিরোধিতা করতে এবং বড় দাড়ি রাখতে নির্দেশ দিয়ে ইরশাদ করেন- হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তোমরা মুশরিকদের বিরোধীতা কর। দাড়ি লম্বা কর। আর গোঁফকে খাট কর। আর ইবনে ওমর রাঃ যখন হজ্ব বা ওমরা করতেন, তখন তিনি তার দাড়িকে মুঠ করে ধরতেন, তারপর অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৫৫৩]
* বিখ্যাত তাবেয়ী ইমাম উবায়দুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে উতবা (রাঃ) বলেন, জনৈক অগ্নিপূজক আল্লাহর রাসূল সাঃ-এর নিকট এসেছিল। তার দাড়ি মুন্ডানো ছিল ও মোচ লম্বা ছিল। আল্লাহর রাসূল সাঃ বললেন, ‘এটা কী?’ সে বলল, ‘এটা আমাদের ধর্মেও নিয়ম।’ আল্লাহর রাসূল সাঃ বললেন, ‘কিন্তু আমাদের দ্বীনের বিধান, আমরা মোচ কাটব ও দাড়ি লম্বা রাখব।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১৩/১১৬-১১৭, হাদীস : ২৬০১৩]
* আবু হোরায়রা [রা.] থেকে বর্ণিত,পারস্যের স¤্রাট কিসরা ইয়েমেনের শাসকের মাধ্যমে রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে দু’জন দূত পাঠান। এদের দাড়ি ছিল কামানো আর গোঁফ ছিল বড় বড়। রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে তাদের এই অবয়ব এতই কুৎসিত লেগেছিল যে তিনি মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, তোমাদের ধ্বংস হোক, এমনটি তোমাদের কে করতে বলেছে? তারা উত্তর দিল, আমাদের প্রভু কিসরা। রসুলুল্লাহ (সাঃ) তখন উত্তর দেন, আমার রব, যিনি পবিত্র ও সম্মানিত আদেশ করেছেন যেন আমি রসুলুল্লাহ ছেড়ে দেই এবং গোঁফ ছোট রাখি। [ইবনে জারির আত তাবারি,ইবন সা’দ ও ইবন বিশরান কর্তৃক নথিকৃত। আল আলবানি হাসান বলেছেন। ” আল গাযালির ফিক্বহুস সিরাহ ৩৫৯ পৃষ্ঠা”)]
দাড়ি রাখা যা-ই হোক না কেন, প্রকৃত মুসলিম দাড়ি রাখবে, এটাই স্বাভাবিক। আমাদের দাড়িতে ভালো লাগুক বা না লাগুক, আমরা আল্লাহ ও রাসূল সাঃ কে ভালবেসে দাড়ি রাখবো। এক মুষ্টির অতিরিক্ত অংশ কাটার সুযোগ শারি’আতে রয়েছে। হাদীসের কিতাবে পাওয়া যায়, আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) ও আবু হুরায়রা (রাঃ) এক মুষ্টির অতিরিক্ত অংশ কেটেছেন। আবু যুরআ (রাঃ) বলেন, “আবু হুরায়রা (রাঃ) তাঁর দাড়ি মুঠ করে ধরতেন। এরপর এক মুষ্টির অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন।” [মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ১৩/১১২, হাদীস : ২৫৯৯২; ২৫৯৯৯] কিন্তু কোনো সহীহ বর্ণনায় এক মুষ্টির ভিতরে দাড়ি কাটার কোনো অবকাশ পাওয়া যায় না।
আসুন এবার দেখি দাড়ি রাখার উপকারিতা ঃ
* দাড়ি রাখলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল(সাঃ) খুশি হন।
* দাড়ি রাখার দ্বারা সকল নবীগণের সাদৃশ্য গ্রহণ করা হয়।
* দাড়ি রাখলে নবীজির শাফায়াত লাভ হবে।
* দাড়ি রাখলে কবরের আযাব মাফ হবে।
* দাড়িওয়ালার প্রতি মানুষের ধারণা ভাল থাকে এবং সে মানুষের দোয়া পায়।
* অপরিচিত স্থানে দাড়িওয়ালা মুসলমান মারা গেলে,মুসলমান কিনা চেনার জন্য উলঙ্গ করে খাতনা দেখতে হয় না।
* দাড়িতে চেহারার সৌন্দর্য্য বাড়ে এবং বীরত্বের পরিচয বহন করে।
* কিয়ামতের অন্ধকারে মুমিনের দাড়ি নূরে পরিণত হবে।
* ঈমান-আমল ঠিক থাকলে দাড়িওয়ালা ব্যক্তি নবী ও ওলীর সাথে সাক্ষাৎ হাশর হবে।
* দাড়ি রাখলে অনেক পাপ থেকে বেঁচে থাকা যায়।
* দাড়ি ইসলামী সভ্যতার অন্যতম প্রতীক।
* দাড়ি রাখলে মুনকার-নাকীরের সুওয়াল- জাওয়াব সহজ হয়।
* লম্বা দাড়ি স্বাস্থের ক্ষতিকর জীবানু গুলোকে গলাও সিনাতে পৌঁছতে দেয় না।
* দাড়ি গলাকে শীত ও গরমের বিরুপ প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্ত রাখে।
* দাড়ির অস্তিত্ব যৌন শক্তিকে বৃদ্ধিকরে, যা ডাক্তার দ্বারা প্রমাণিত।
* দাড়ি রাখলে পাইরিয়ার মত মারাত্বক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
* দাড়ি রাখলে সেভ করার অনর্থক সময় ও টাকা অপচয় থেকে বাঁচা যায়।
* দাড়ি দ্বারা গুণাহে জারিয়া থেকে রক্ষা পাওযা যায়।
* দাড়ি রাখার দ্বারা শারীরিক সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পায়।
* দাড়িতে ক্ষুর বা ব্রেড লাগালে,চোখের রগের উপর আঘাত লাগে। ফলে চোখের জ্যোতি কমে যায় এবং মুখের চামড়া শক্ত হয়ে যায়। তাই দাড়ি রাখলে এই ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
আশা করি, এবার সকলের দাড়ি রাখার বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ থাকবে না। এখন আপনি নিজেই ভেবে দেখুন, আপনি কী করবেন। আল্লাহ ও রাসূল সাঃ এর নির্দেশ মানবেন, নাকি সমাজের মানুষের অন্ধ অনুসরণ করবেন? আল্লাহ্ আমাদের সকলকে কুরআন ও সুন্নাহ মেনে জীবন চলার তৌফিক দান করুন। আমীন।