নওগাঁ ‘র রাণীনগর উপজেলা পরিষদে রাজস্ব খাতে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে রাণীনগর থেকে সদ্য বিদায়ী নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মোকাম রাণীনগর সহকারী জজ আদালত, নওগাঁ’তে মামলা মাৃমলা দায়ের হয়েছে। মামলার বিবাদী ৫ জন বরাবর আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শনার নিদের্শ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় উপজেলা পরিষদ কার্যলয়ের জন্য রাজস্ব খাতে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেই মোতাবেক এই মামলার বাদী উপজেলা সদরের পূর্ববালুভরা গ্রামের জাফর আলীর ছেলে মো: নাসির উদ্দিন গত ১৯ সেপ্টেম্বর কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর তারিখে কর্তৃপক্ষ তার ঠিকানা বরাবর প্রবেশপত্র প্রদান করে। প্রবেশপত্রে অফিস সহায়ক পদে গত ০৩ অক্টোবর সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে মর্মে উল্লেখ করা হয়। উক্ত তারিখে পরীক্ষা ও ফলাফল বোর্ডে টাঙ্গানোর ঘোষনা থাকলেও নিয়োগ কমিটি সকাল ১০ টায় পরীক্ষা না নিয়ে বেলা সাড়ে ১২ টায় ৭ জন প্রার্থীর কাছ থেকে লিখিত পরীক্ষা নিয়ে প্রার্থীদের চলে যেতে বলে এবং ফলাফল প্রকাশ না করে স্থগিত রাখে। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে মৌখিক ভাবে ঘোষনা দেয়, লিখিত পরীক্ষার ফলাফল অনিবার্য কারণ বশত: নোটিশ বোর্ডে টাংগানো হবে না এবং যে কোন দিন ফলাফল টাংগানো সহ উত্তীর্ণ ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান করা হবে। বিষয়টি নিয়ে নানান নাটকীয়তার এক পর্যায়ে গত ১০ অক্টোবর সকালে ২নং ও ৫নং বিবাদীর কাছে বাদী জানতে পাড়ে যে, ১নং বিবাদী তার পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করে অন্যত্র বদলী হয়ে গেছে। কিন্তু বাদী নাসির উদ্দিন লিখিত নিয়োগ পরীক্ষায় ৮০ নাম্বারের সমুদয় সঠিক উত্তর প্রদান করে। তার দাবি, সঠিক ভাবে লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা হলে অফিস সহায়ক পদে তিনিই নিয়োগ প্রাপ্ত হবেন। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি করে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করায় সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নিয়োগ বাছাই কমিটির আহবায়ক সোনিয়া বিনতে তাবিব, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি এসএম আল-ফারুক জেমস, নিয়োগ কমিটির সদস্য উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মাকসুদুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল জলিল, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন নাসির উদ্দিন। মামলা নং- ৯৩/১৮ অঃপ্রঃ। মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত গত ২৯ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে উক্ত ৫ জন বিবাদী বরাবর আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রবেশপত্রের ৪নং ধারা অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষার ফলাফল কেন নোটিশ বোর্ডে দেওয়া হয় নাই মর্মে কারণ দর্শনার নিদের্শ দিয়েছেন।উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার ও নিয়োগ কমিটির সদস্য মাকছুদুর রহমান জানান, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং আদালত থেকে আমি একটি নোটিশ পেয়েছি। সরকারী কৌশলী’র মাধ্যমে আমি আমার বক্তব্য বিজ্ঞ আদালতকে জানাবো।