সম্পদের হিসাব না দেওয়ার মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়ার আপিল গ্রহণ করেছে হাই কোর্ট।একই সঙ্গে জরিমানা স্থগিত করে ছয় মাসের জামিন দেওয়া হয়েছে তাকে।বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দায়ের করা আপিল গ্রহণ করে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের একক বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দয়।সাজা স্থগিতের পাশাপাশি জামিন প্রার্থনা করে রোববার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন রফিকুল ইসলাম মিয়ার আইনজীবী রাগিব রউফ চৌধুরী।

আদালতে আপিলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী। দুদকের পক্ষে শুনানি কিরেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।আইনজীবী রাগিব রউফ চৌধুরী পরে সাংবাদিকদের বলেন, আদালত আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। এছাড়া জরিমান স্থগিত করে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন।সম্পদের হিসাব না দেওয়ায় গত ২০ নভেম্বর ব্যারিস্টার রফিকুলকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ গোলাম মাহবুব।১৪ বছর আগের এ মামলার রায়ে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি রফিকুলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম করাদণ্ড দেওয়া হয়।রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত না থাকায় সাবেক মন্ত্রী রফিকুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের ৭ এপ্রিল তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে রফিকুল ইসলাম মিয়াকে নোটিস দিয়েছিল।কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি হিসাব না দেওয়ায় ব্যুরো কর্মকর্তা সৈয়দ লিয়াকত হোসেন ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি রফিকুলের বিরুদ্ধে ঢাকার উত্তরা থানায় মামলা করেন।তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন ওই কর্মকর্তা। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর বিচার আদেশ দেন।খালেদা জিয়ার ১৯৯১-৯৬ সালের সরকারে পূর্তমন্ত্রী ছিলেন রফিকুল ইসলাম মিয়া; পরে বেশ কিছুদিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর ফের বিএনপিতে সক্রিয় হন তিনি।কুমিল্লার সাবেক সংসদ সদস্য রফিকুল ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি ঢাকার মিরপুরের আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।