পিলখানা ট্র্যাজেডির দ্রুত বিচার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেছেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি শহীদ সেনা দিবস ঘোষণার দাবিতে অনেক আবেদন করেছি কিন্তু সরকার তা করেনি।রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পল্টনের মুক্তিভবনে কল্যাণ পার্টি আয়োজিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ৫৭ জন সামরিক কর্মকর্তা হত্যা এবং ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজার অগ্নিকান্ডে প্রায় ৭০ জন নাগরিককে পুড়িয়ে মারার ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে।তিনি বলেন, ভারতীয় নকল পণ্য এবং তাদের অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় একমাত্র প্রতিবন্ধকতা ছিল কেরানীগঞ্জ ও চকবাজার। আমি মনে করি ২০ ফেব্রুয়ারি এবং পিলখানা গণহত্যায় সমন্বয় ঘটিয়েছে ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী ‘র’ এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরেক গোয়েন্দা সংস্থা।২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহে পিলখানা গণহত্যায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীরের তৈরি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম।

একই সঙ্গে ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী দোষীদের শাস্তি ও ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শোক দিবসের ঘোষণার দাবি জানান তিনি।প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পিলখানা গণহত্যায় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। আমরা পত্রপত্রিকায় দেখেছি যার সিগনালে ঘটনা শুরু হবে তিনি স্টেজেই অজ্ঞান হয়ে পরেন। পিলখানা হত্যায় জড়িত একটি দলের সঙ্গে হত্যাকান্ডের পূর্বে আলাপ আলোচনাও হয়েছে। হয়তো তাদের সম্মতিতে এ ঘটনা ঘটেছিল।তিনি বলেন, ঘটনাটি অতি সহজে এড়ানো যেতো। যদি শুরুতেই বিদ্রোহীদের একটি সতর্ক বাণী দেয়া হতো। সেনাবাহিনীর কোনো কিতাবে নেই, বিদ্রোহ শুরু হলে এমপি-মন্ত্রীর সহায়তা চাওয়া। এ সময় সেনাবাহিনীর কাজ হবে বিদ্রোহ দমনের প্রচেষ্টা।বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে অসমাপ্ত কেরানীগঞ্জ কারাগারে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে সরকার।

সাধারণ বন্দিরা যেখানে সুবিধা পান না, সেখানে তার নিরাপত্তা আমরা বোধ করছি না। আমরা অবিলম্বে তার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি।বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল কামরুজ্জামান খান, মেজর ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন, মেজর মো. হানিফ, মেজর সাইদুল ইসলাম, মেজর আহম্মেদ ফেরদৌস, সৈয়দ এহসানুল হুদা, অ্যাড. আজাদ মাহববুব, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম.এম আমিনুর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।