প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হলে ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কোনো সুযোগ থাকবে না।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সিইসি এ কথা বলেন।

দেশের নির্বাচনী সংস্কৃতির অবনতির হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে. এম. নুরুল হুদা বলেছেন, আগের রাতে ব্যালোট বাক্স ভরে রাখার অনিয়ম রোধে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার প্রয়োজন।

উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাখা বক্তব্যে সিইসি দেশের নির্বাচনী সংস্কৃতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, একদিকে নির্বাচনে নানা অনিয়ম হচ্ছে এবং অন্যদিকে কমিশনকে নতুন নতুন আইন করতে হচ্ছে।

কে. এম. ইুরুল হুদা বলেন, ‘এই সমাজের মধ্যে অনিয়ম একটা একটা অনুপ্রবেশ করে, একে প্রতিহত করার জন্য আরেকটা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। এখন আমরা চিন্তা করেছি কী, এগুলোর আর দরকার নাই, ইভিএম শুরু করে দেব। ইভিএম শুরু হবে সুতরাং রাতে আর বক্স ভর্তি করার সুযোগ থাকবে না।

এই উত্তরণ একেকটা, উত্তরণ বলেন অধ:পতন বলেন- এই রকম সামাজিক ব্যবস্থার মধ্যে এসে যাচ্ছি, যোগ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি আরো বলেন, কারা সেজন্য দায়ী, কাদের কী করা যাবে, সেই দীক্ষা-শিক্ষা দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের কমিশনের নেই। এবং সেভাবে বলারও কোনো সুযোগ নেই যে, কী কারণে এগুলো হচ্ছে।রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনমুখী করতে উদ্যোগী হতে হবে বলে চতুর্থ পর্বের উপজেলা নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন সিইসি। তিনি আরো বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনমুখী করার ব্যাপারে আপনাদের ভূমিকা রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনমুখী করার জন্য আপনাদের ভূমিকা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনাদের অবদান আশা করি আপনাদের থাকবে।

এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার আশা প্রকাশ করেন, এমন দিন আসবে যেদিন নির্বাচন করতে পুলিশের প্রয়োজন হবে না। তিনি বলেন, কোন দেশে আছে সেনাবাহিনী পর্যন্ত নির্বাচন পরিচালনা করার কাজে যুক্ত হয়?