রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে বেড়েই চলছে ডেঙ্গু রোগী। আর পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ থাকলেও চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কেবল প্লাটিলেটের উপর গুরুত্ব না দিয়ে রক্তের ঘনত্ব নির্ণয় করে সে অনুসারে চিকিৎসা দেবার পরামর্শ তাদের। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে ক্রমবর্ধমান এই চাপ সামলাতে নেয়া হচ্ছে নতুন নতুন ব্যবস্থা। আগের সব রেকর্ড ভেঙ্গে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। চলতি বছর এরই মধ্যে রাজধানীতে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪২৪৮ জন। যার মধ্যে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ২ হাজার ১৬৪জন। আর এজন্য নগর কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করছেন নগরবাসী।

জুলাই মাস ডেঙ্গু বিস্তারে উপযুক্ত সময়। আগের যেকোন সময়ের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। প্রতিদিনই এই সংখ্যা দেড়শ ছাড়াচ্ছে। এছাড়া বহিঃবিভাগ থেকেও চিকিৎসা নিয়ে ফিরছেন অনেকেই। চাপ সামলাতে এখন অনেকটাই বেহাল দশা চিকিৎসকদের।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডেঙ্গু মোকাবিলায় এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ফলো করতে হবে জাতীয় গাইড লাইন। আর প্লাটিলেট নয়, বেশি গুরুত্ব দিতে হবে রক্তের ঘনত্বের দিকে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আরো ডাক্তার, নার্সকে প্রশিক্ষণ ও হাসপাতালগুলোকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই সময়ে জ্বর দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল বাদে অন্য কোন ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ তাদের।