আগামী বছর থেকে পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করার আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) উদ্বোধন করে তিনি এ আশা ব্যক্ত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা ইয়াসমিনসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মেলার উদ্বোধন শেষে তৃণমূলে মানুষের ভাগ্যবদলই উন্নয়নের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার। সারা বিশ্বে প্রবৃদ্ধি অর্জন কমে গেলেও বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত আছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোতে রপ্তানি বাড়াতে হবে। সে কারণে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে কাজ করছে সরকার।’ এ সময় সারা বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলাসহ নুতন নতুন বাজার ও অধিক পরিমাণে রপ্তানিযোগ্য পণ্য উৎপাদন করতে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

পরিবেশ সুশৃঙ্খল রাখতে এবারের মেলায় গতবারের তুলনায় ১৪৭টি স্টল কমিয়ে ৪৮৩টি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন ১১২টি, মিনি প্যাভেলিয়ন ১২৮টি এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল ২৪৩টি।

এ বছর ইলেক্ট্রনিক্স, ফার্নিচার, খাদ্যপণ্য, গৃহস্থালী পণ্য, পোশাক, প্রসাধনী, চামড়াজাত পণ্য, পাটপণ্য নিয়ে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিয়েছে। এবার বিশ্বের ২৩টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। মেলায় পণ্যের গুণগত মান রক্ষাসহ খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

মেলায় এবার পূর্ণ বয়স্কদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৪০ টাকা ও অপ্রাপ্তদের জন্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মাসব্যাপী চলা এ মেলা তদারকিতে বরাবরের মতো খোলা হয়েছে মেলা সচিবালয়। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে মেলার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য মেলা প্রাঙ্গণ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এবারের মেলায় প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন রাখা হয়েছে ৬৪টি। সাধারণ প্যাভিলিয়ন ১৩টি, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়ন ৫৯টি এবং প্রিমিয়াম মিনি প্যাভিলিয়ন ৪২টি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, মেলা প্রাঙ্গণে রেস্তোরাঁ থাকবে দুটি, স্ন্যাকস বুথ সাতটি, প্রিমিয়ার স্টল ৮৪টি, সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন ছয়টি, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন আটটি, সাধারণ স্টল ১০৭টি এবং ফুড স্টল রাখা হয়েছে ৩৫টি। পাশাপাশি বিদেশি প্যাভিলিয়ন ২৭টি, বিদেশি মিনি প্যাভিলিয়ন ১১টি এবং বিদেশি প্রিমিয়াম স্টল ১৭টি।