দুই বছর আগে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ হলেও সেতুর দু’পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় জনদূর্ভোগ কাটেনি। চিড়াই কাঠ (তক্তা) দিয়ে স্থানীয় ভাবে তৈরি করা হয়েছে সংযোগ সড়ক। আর এ সড়ক দিয়েই সীমহীন দূর্ভোগে ১৫ গ্রামের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণিপেশা ও বয়সের মানুষকে পারাপার হতে হয়।
জানা যায়, পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার সুজাপুর-কদমতলীহাট সড়কে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হয়েছিল। দুই বছর আগে নির্মাণ শেষ হলেও আজও ব্যবহার উপযোগী না করায় কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছেন প্রতিদিন। আর এতে এই সড়কে চলাচলরত ১৫টি গ্রামের মানুষকে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুজাপুর-কদমতলীহাটের সংযোগের জন্য রতœাই নদীর উপর দিয়ে ৯৬ দশমিক ২০ মিটার দৈঘ্য পিসি গার্ডার সেতুর কাজ শেষ হয় প্রায় দুই বছর আগে। কিন্তু ঠিকাদারের অবহেলায় দুইপাশে সংযোগ সড়কের কাজটুকু এখনও সম্পন্ন হয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন স্থানীয় লোকজন।
সুজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্কেল আলী জানান, গ্রামের মানুষ এই সেতু দিয়ে আটঘরিয়া-চাটমোহর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন। এই সেতু দিয়ে কদমতলী মহিলা মাদরাসা, ফৈলজানা উচ্চ বিদ্যালয় ও সুজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং এলাকার সাধারণ মানুষ চলাফেরা করেন। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্যবহৃত কাঠের সিঁড়ির কারণে সেতুর দুইপাশে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা।

আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) এএইচএম রবিউল আলম রিজভী বলেন, রতœাই নদীর উপর দিয়ে নির্মিত এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১২২ টাকা। সংযোগ সড়ক নির্মাণে ঠিকাদারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা করছি সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ খুব শিঘ্রই শেষ হবে।

কামাল সিদ্দিকী, পাবনা।