পাবনায় বিদেশ ফেরত, জেলার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ইপিজেড এ কর্মরত বিদেশী মিলে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩২৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর বলছে, সম্প্রতি বিদেশ থেকে দেশে আসা প্রবাসীর সংখ্যা ২ হাজার ৮শ’ ৮৫ জন। এদের মধ্যে বিদেশীসহ বিদেশ ফেরত ৩২৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেল থেকে জেলায় প্রচার যন্ত্রে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের বরাত দিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানাদি এবং কমিউনিটি সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে করোনা আতঙ্কে সাধারণ ক্রেতারা বাজারের ভোগ্যপণ্যে ক্রয়ের জন্য ভীড় জমিয়েছে দোকানগুলোতে। আর এই সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। এমন অভিযোগ ভূক্তভোগী ক্রেতাদের।

পাবনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. একেএম আবু জাফর জানান, সর্তকতা বাড়ানো, কিভাবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা যায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে। ইতোমধ্যে পাবনা সদরসহ আটঘরিয়া, ঈশ্বরদী, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, বেড়া, সুজানগর এবং বিদ্যুৎ প্রকল্প ও ইপিজেডে কর্মরত বিদেশীসহ ৩২৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতিটি অঞ্চলে জনপ্রতিনিধি, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে প্রবাসীদের উপর হোম কোয়ারেন্টাইনের নজর রাখছেন। আইন অমান্যকারীকে কঠোর ভাবে সাজা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে আইন অমান্য করায় একজনকে অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

পাবনা বড় বাজার এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, নানা ধরণের ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির অজুৃহাত দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছে ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে চাউলের দোকানসহ মুদিখানা দোকানগুলোতে বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করতে ভীড় জমিয়েছে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। চাউল ভেদে প্রতি বস্তায় ২৫০ টাকা থেকে প্রায় ৫ শ’ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করলেও বাজার থেকে চলে আসার পরে আবারো দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে বিক্রেতারা। তবে এই অবস্থায় বাজার মনিটরিং ব্যবস্থাকে জোড়দার করা জরুরী বলে মনে করছেন সাধারন ভোক্তারা।