প্রতিটি লাইসেন্স দেওয়া ও নবায়নে বিস্ফোরক অধিদপ্তরে দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকা ঘুষের লেনদেন হয় বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণায় উঠে এসেছে। পুরান ঢাকার অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার টিআইবি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ গবেষণার তথ্য তুলে ধরা হয়।
টিআইবি বলছে, রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থের গুদাম বা কারখানা চালানোর ক্ষেত্রে ঘুষের বিনিময়ে নানা ধরনের অনিয়মের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যুক্ত রয়েছে।প্রভাবশালী সিন্ডিকেট অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থের ব্যবসা চালাচ্ছে অভিযোগ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ঢাকা থেকে রাসায়নিক গুদাম সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সেটার ঘাটতি রয়েছে। এসব কিছু মিলিয়ে একটা সিন্ডিকেটেড অনিয়ম এখানে বিরাজ করছে।

টিআইবির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, পুরান ঢাকার প্রভাবশালী রাজনীতিক ও জনপ্রতিনিধিরা কেমিকেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তনে তাঁরাই বাধা দেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও এসব গুদামে তল্লাশির নামে অবৈধ উপার্জনে ব্যস্ত বলেও অভিযোগ সংস্থাটির।
একইসঙ্গে পুরান ঢাকার রাসায়নিকের গুদাম বা কারখানা অন্যত্র স্থানান্তর না করলে আরো ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে টিআইবি।নিমতলী থেকে চুরিহাট্টা— পুরান ঢাকার ভয়াবহ এসব অগ্নিকা- বরাবরই জানান দিয়েছে, অবৈধ রাসায়নিক ব্যবসা, নানা অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার। যার খেসারত ছিল, শত শত প্রাণহানি। এসব ঘটনায় তদন্ত হয়েছে, এসেছে অনেক সুপারিশ। যার বেশির ভাগই আজও বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি।