মাদক মামলার আসামি ধরিয়ে দেয়ায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় র‍্যাবের এর সোর্স কাশেমকে। ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে আসামি গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানায় তারা। পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন পেশার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। গত ১ সেপ্টেম্বর শেরেবাংলা নগর থেকে নারী মাদক ব্যবসায়ী নুরজাহান ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। আর এতে সহায়তা করে র‍্যাবের এর সোর্স কাশেম।

বিষয়টিকে ভালোভাবে নিতে পারেনি নুরজাহানের মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত অন্যান্যরা। এ কারণে পরিকল্পনা করা হয় র‍্যাবের এর সোর্স কাশেমকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার। পরিকল্পনার পর গ্রুপের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করতে থাকে কাশেমের। কোথাও না পেয়ে কাশেমের বাসায়ও যান তারা। কিন্তু বাসায় খোঁজ না পেয়ে সেখান থেকে বের হয়ে তারা আবার খুঁজতে থাকেন কাশেমকে, এক সময় আগারগাঁও এলাকায় পেয়ে যান কাশেমকে।

এরপর তাকে ধাওয়া করা হয় তাকে। ধাওয়ার এক পর্যায়ে পড়ে যায় কাশেম। এরপর সেখানেই তাকে উপর্যুপরি কোপানো হয়। পরে পথচারীরা এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

এরপর ৬ সেপ্টেম্বর কাশেমের স্ত্রী বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকেই অভিযানে নামে পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজের সূত্র ধরে পটুয়াখালী থেকে গ্রেফতার করা হয় মাসুদকে, এরপর তার দেওয়া তথ্যে গ্রেফতার করা হয় বাকিদের। গ্রেফতারকৃতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।