ফরিদপুর সংবাদদাতা: ফরিদপুর জেলার ফরিদপুর ও মধুখালী পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনের তফশিল ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মোঃ আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানা গেছে এ তথ্য। নির্বাচন কমিশন এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থীরাও ব্যাপক তোড়জোড় শুরু করেছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মেয়র, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৫ নভেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ১৭ নভেম্বর আর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ নভেম্বর। ফরিদপুর পৌরসভায় বর্দ্ধিত এলাকার সমন্বয়ে ৬৬ দশমিক ৫৪ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বর্তমানে ২৭টি ওয়ার্ড রয়েছে। ২০১৯ সালের হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী এখানে ভোটার সংখ্যা রয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭১ হাজার ৭৮৬ এবং নারী ৭৬ হাজার ৫৭১ জন। সর্বশেষ ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ফরিদপুর পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শহর ফরিদপুরকে পৌরসভায় রুপান্তর করা হয় ১৮৬৯ সালে।

ফরিদপুরের মধুখালী পৌরসভা গঠিত হয় ১২ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত মধুখালী পৌরসভার ভোটার রয়েছেন ১৯ হাজার ৯৯০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৯০২ জন এবং নারী ১০ হাজার ৮৮ জন।

এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য প্রার্থীদেরও ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বিশেষ করে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ ফরিদপুর পৌরসভায় দীর্ঘদিন পর নির্বাচনের তফশিল ঘোষনা হওয়ায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোটারদের মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ বিরাজ করছে। এ নির্বাচনে শুধুমাত্র মেয়র পদেই রাজনৈতিক দলের প্রার্থী দেয়া যাবে। কাউন্সিলর পদে সকলে স্বতন্ত্রভাবেই নির্বাচন করবেন।

ফরিদপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু নির্বাচিত হন ২০১১ সালে। এরপর গত ৯ বছরে এখানে আর কোন নির্বাচন হয়নি। মাঝপথে ফরিদপুর পৌরসভাবে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত করার একটি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় নির্বাচন ঝুলে যায়। আর মধুখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান নির্বাচিত হন ২০১৫ সালে।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে নতুন করে বর্দ্ধিত এলাকার সীমানা নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোন জটিলতা তৈরি হতে পারে কিনা সেটি নিয়ে অনেকেই দ্বিধান্বিত। তবে তফশিল ঘোষনার পর অনেকেই আশান্বিত। নতুন করে কোন মামলা জটে নির্বাচন আটকে যাবে কিনা সেটিও অনেকের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে।

এব্যাপারে দ্বায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবার ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন আটকে গেলে প্রশাসন কর্তৃক প্রশাসক নিয়োগ করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিষয়টি হিতে বিপরীত হতে পারে। ফরিদপুরের জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম বলেন, তফশিল ঘোষনার পর বর্দ্ধিত সীমানা অনুযায়ীই ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করছি।