লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় ভুট্টা ক্ষেতে পাওয়া সেই নবজাত (মেয়ে) টিকে রাজশাহী ছোট মনি নিবাসে পাঠানো হয়েছে। নবজাতকটিকে দত্তক নেবার জন্য ৭জন আবেদন করলেও এবিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি আদালত। তবে আগামীকাল এবিষয়ে আদালত সিদ্ধা দিতে পারে বলে জানান সমাজ সেবা বিভাগ।
সোমবার (২৪ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাটগ্রাম সমাজ সেবা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহাবুবুল আলম।
পাটগ্রাম থানার (ওসি) ওমর ফারুক জানান, গত শুক্রবার সকালে ওই উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের মুন্সিরহাট এলাকায় ভুট্টা ক্ষেতে পড়ে থাকা নবজাতককে প্রথম দেখতে পায় মিনা বেগম নামে এক মহিলা। পরে পুলিশ নবজাতকটি উদ্ধার করে সমাজ সেবা বিভাগকে হস্তান্তর করেন। সমাজ সেবা বিভাগের মাধ্যমে নবজাতকটি বতর্মানে মিনা বেগম নামে ওই মহিলার কাছে রয়েছে।

আজ সকালে নবজাতকটিকে উদ্ধার কারী মা রিনা বেগম ও তার স্বামী মোহাম্মদ আলী শিশুটিকে নিজের মনে করে বুকে জড়িয়ে ধরে পুলিশের মাইক্রোবাস যোগে আদালতে পৌছান। তিন ছেলের জননী রিনা বেগমের কোলে কোন কন্যা সন্তায় না থাকায় তারা নবজাতক শিশুটিকে দত্তক পাবার জন্য পাগল প্রায়।
রিনা বেগমের দাবী, একটি মেয়ে সন্তানের জন্য কান্না শুনে আল্লাহ তার কাছে এই শিশুটিকে পাঠায়। তিনি কোন ভাবেই তাকে অন্য কাউকে দিবেন না। শিশুটিকে পাবার জন্য প্রয়োজনে তিনি জেলে যেতেও প্রস্তুত। তবে রিনা বেগমের কোলে এই নিষ্পাপ শিশুটি থাকবে কিনা তা নির্ভর করছে আদালতের সিদ্ধান্তের উপর।
রিনা বেগমের বিশ্বাস আদালত নিশ্চয়ই তার কোলে ফিরে দিবে ভুট্টা খেতে পাওয়া সেই চাঁদ কন্যাকে।

পাটগ্রাম সমাজ সেবা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহাবুবুল আলম বলেন, আমরা যতদুর জানি নবজাতকটি দত্তক পেতে ইতোমধ্যে ৭ জন আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে মিনা বেগমও রয়েছেন। আরো অনেকে আদালতে আবেদন করতেছেন। যে কারণে আদালতের সিদ্ধান্ত আসতে একটু বিলম্ব হতে পারে। তবে আগামীকাল এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধা দিতে পারে। তাই নবজাতকটির নিরাপত্তাজনিত কারণে রাজশাহী ছোট মনি নিবাসে পাঠানো হচ্ছে। পরে আদালতের সিদ্ধান্ত এলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

উল্লেখ্য গত শুক্রবার পাটগ্রাম উপজেলার ভুট্টা ক্ষেতে নিষ্পাপ এক নবজাতক কুড়ে পায় রিনা বেগম নামে এক নারী।