সারাদেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৬ হাজার ৩৬২ জনে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরো তিন হাজার ৪৩৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ সাত হাজার ১১৬ জনে। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৯০১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৮৫ জন।

সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৯১ টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৭টি, জিন এক্সপার্ট ৫৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬০০টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৯৬টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৩ হাজার ২৫টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৬৪টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৬ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৮৮ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৪ জন ও ৩৪ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭ জন, রাজশাহী বিভাগে পাঁচজন, খুলনা বিভাগে সাতজন, বরিশাল বিভাগে তিনজন, সিলেট বিভাগে ১০ জন, রংপুর বিভাগে তিনজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন রয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে ৬৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৭ জন এবং বাড়িতে দুইজন মারা গেছেন।

মৃত ব্যক্তিদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে আটজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৩২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ছয়জন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দুইজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ২৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৩৮৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৬৭ হাজার ২৮১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ১০ হাজার ৩৬০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৫৬ হাজার ৯২১ জন।