ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপন করা ছয়টি আর টিপিসিআর ল্যাব অনুমোদন দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর ফলে বাংলাদেশের যাত্রীদের সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, আবুধাবি এবং শারজাহ যাওয়ায় কোনো বাধা থাকল না। আজ বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ-উল আহসান।

এর আগ সকালে ঢাকায় অবস্থিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানকে এক চিঠিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সিভিল এভিয়েশন আপনাদের স্থাপিত ল্যাবগুলোকে অনুমোদন দিয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রুটগুলোতে নিয়মিত ফ্লাইটগুলো চালুর অনুমোদন দেওয়া হলো। অনুমোদনের সিদ্ধান্ত বুধবার দুপুর ১২টা থেকে কার্যকর হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।

একজন যাত্রী তার যাত্রা শুরুর ৬ ঘণ্টা আগে এই ল্যাবগুলো থেকে করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ সনদ নিয়ে আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হতে পারবে বলে চিঠিতে শর্তজুড়ে দেওয়া হয়। বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার জন্য অনুমোদন পাওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠান হলো- গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড, স্টেমজ হেলথকেয়ার (বিডি) লিমিটেড, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক। ল্যাবগুলোতে জনপ্রতি পরীক্ষা ফি ১ হাজার ৬০০ টাকা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কারিগরি কমিটি।

এর আগে গত সোমবার রাতে এই বুথগুলোতে পরীক্ষা করিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে পরীক্ষামূলকভাবে দুবাই যায় যাত্রীদের একটি দল। বর্তমানে করোনার কারণে ইউইএর সঙ্গে নিয়মিত ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বেবিচকের অনুমতি সাপেক্ষে এমিরেটস এয়ারলাইন্স স্বল্পসংখ্যক বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তবে গত আগস্টে শর্ত দেওয়া হয়, দেশটিতে যেতে হলে যাত্রার ছয় ঘণ্টা আগে লাগবে বিমানবন্দরে করোনার আরটি পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ।