গাজীপুরে এক বহুতল ভবনের ৫ম তলায় গড়ে তোলা হয়েছিল চোলাই মদ তৈরীর বিশাল কারখানা। সোমবার ওই কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ কেমিক্যালসহ মদ তৈরীর সরঞ্জমাদি ও তৈরী চোলাই মদ জব্দ করে পুলিশ। এসময় এক দম্পতিসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর (উপজাতি) ১২জনকে আটক করা হয়। বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে জিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) রেজওয়ান আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন। এসময় সহকারি কমিশনার (সদর জোন) রিপন চন্দ্র সরকার ও সহকারি কমিশনার (অপরাধ ও মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন উপস্থিত ছিলেন।

জিএমপি’র ওই কর্মকর্তা জানান, গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন লক্ষ্মীপুরা মধ্যপাড়া এলাকার তৌহিদ উদ্দীনের ৬ তলা বাড়ীর ৫ম তলার সব ক’টি ইউনিট (৪টি) ভাড়া নিয়ে সেখানে চোলাই মদ তৈরীর বিশাল কারখানা গড়ে তোলে ক’মাদক ব্যবসায়ী। এ গোপন সংবাদ পেয়ে জিএমপি’র সদর থানা পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ ১২জনকে আটক করা হয়। এসময় ‘গ্লোরিপ্যান’ নামের কেমিক্যাল ও মদ তৈরীর সরঞ্জমাদিসহ ৮শ’ লিটার চোলাই মদ তৈরীর কাঁচামাল এবং ৩০ লিটার তৈরী চোলাই মদ জব্দ করা হয়। ধনমনি চাকমা, মেরিট চাকমা ও মেরিট চাকমার স্ত্রী মল্লিকা দেবীর নেতৃত্বে ওই বাড়ির ৫ম তলার সব ক’টি ইউনিট ভাড়া নিয়ে চোলাই মদ তৈরী ও বিক্রির ব্যবসা করে আসছিল মাদক ব্যবসায়ীরা। তারা বিভিন্ন সময় এলাকা পরিবর্তন করে এভাবে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করতো। অভিযানকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মেরিট চাকমা দম্পতি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- রাঙ্গামাটি জেলার ধনমনি চাকমা ও তার স্ত্রী রুনা চাকমা, একই জেলার পহেল চাকমা ও রিতন চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলার মংসান মারমা, একই জেলার অনিল চাকমা, বিবরন চাকমা, এপোলো চাকমা, লোচন চাকমা, নার্সি চাকমা ও স্মৃতিময় চাকমা এবং নোয়াখালী জেলার হাতিয়া এলাকার রাতুল মিয়া।