কাল সাফ নারী ফুটবলের ফাইনাল। আর স্বাগতিক নেপাল এবার ভারতকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে। অপর দিকে বাংলাদেশ ভারতকে গ্রুপ পর্বে ৩-০ গোলে হারিয়ে সেমি এসে ফাইনালে যাবার পথে ভূটানকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। সেই বাংলাদেশ কাল শক্তিশালী নেপালের নারী ফুটবল দলের মুখোমুখি হবে ফাইনালে। কঠিন হাই ভোল্টেজের ম্যাচের আগে দু্ই শিবিরই মানসিক চাপে আছে।

তবে এসব মানছেন না নেপাল অধিনায়ক আনজিলা থাম্বাপো। তিনি আজ ফাইনালের আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রথমবার ভারতের সঙ্গে জিতেছি। আমরা উপভোগ করেছি। আমরা কথা বলতে চাই না। মাঠের খেলাতেই প্রমাণ করতে চাই।’

২০১৯ বিরাট নগর নেপাল ফাইনালে খেলেছিল। আপনি ফাইনালে খেলেছিলেন। এবারও তাই। প্রেশার আছে? জবাবে নেপালি অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা ফিজিক্যালি ও মেন্টালি ফিট আছি। শেষ সময় আমরা ভারতের সঙ্গে পারিনি। এবার আমরা পারতে চাই। আমরা ফাইনাল খেলতে প্রস্তুত। সাকসেসফুল খেলা খেলতে চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা দলের কোচ কুমার থাপা বলেন, ‘নতুন একটি ইতিহাস। আমরা দাড়িয়ে সেখানে। কাল সাফের ইতিহাসে নতুন গল্প লেখা হবে। দু’দলের জন্যই। তাই আমরা সেই সুযোগ নষ্ট করতে চাই না। আমরা ভাল ফুটবল খেলে সেই গল্প লিখতে চাই। আমাদের সুযোগ ৯০ মিনিট। আমরা স্বাগতিক। কাপ এখানেই আছে । এখানেই রেখে দিতে চাই। দুই বছর এখানে ট্রফি এসেছে। আমি খুশী মেয়েদের সেমিফাইনালের খেলা দেখে। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে ট্রফি রাখতে চেষ্টা করবো।

ইতিহাস লেখা হয় তা ভাঙ্গার জন্যই। বয়স ভিত্তিক দলে নেপাল হারলেও জাতীয় দল হেরেছে বাংলাদেশই। অবশ্য পেছনের কথা মনে করতে চাই না। দুদলই সেরা দল। খেলবেও সেরকম।

ইমোশন ইজ হায়ার দেন প্রেশার। নেপালের জনগন ফুটবল নিয়ে খায়, ঘুমায়। তাদের উপস্থিতিতে ইমোশন কিংবা প্রেশার কাজ করবে না। তারা ভালো ফুটবল দেখবে আমাদের কাছ থেকে। সম্পর্ক বন্ধুত্বের হতে পারে। ময়দানী খেলায় বন্ধুত্ব নেই। এখানে থাকে জেতার প্রতিদ্ব›িদ্বতা। আমরা সেটাই করবো।’