জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে ‘দুরন্ত প্রাণবন্ত শেখ রাসেল’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শেখ রাসেল দিবস’-এর উদ্বোধন এবং ‘শেখ রাসেল পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

‘দুরন্ত প্রাণবন্ত শেখ রাসেল’ বইটি সম্পাদনা করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বইটির পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উপদেষ্টা এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শেখ রাসেল সম্পর্কিত সব গ্রন্থনা, প্রকাশনা ও গবেষণায় সহায়তা করছেন ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

এর আগে প্রযুক্তিনির্ভর গুণগত শিক্ষার মানোন্নয়নে সারা দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫ হাজারটি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে প্রতিটি সংসদীয় আসনে একটি করে মোট ৩০০টি শেখ রাসেল স্কুল অফ ফিউচারেরও উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয় শেখ রাসেলের জীবন নিয়ে নির্মিত ত্রিমাত্রিক অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’-এর ট্রেলার, যার চিত্রনাট্য রচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই। এটি শিগগিরই মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।

‘দুরন্ত প্রাণবন্ত শেখ রাসেল’ স্মারকগ্রন্থে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘কারাগারের রোজনামচা’য় বিভিন্ন সময়ে শেখ রাসেলকে নিয়ে উঠে আসা কথার সংকলন রয়েছে। ভাইকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আবেগময় একটি স্মৃতিচারণও রয়েছে এই বইয়ে। শেখ রেহানার একটি লেখাও এতে রয়েছে।

এছাড়া শেখ রাসেলকে নিয়ে বেবী মওদুদসহ বেশ কয়েকজনের লেখা রয়েছে ১০০ পৃষ্ঠার স্মারক গ্রন্থটিতে। শেখ রাসেলের দুর্লভ অসংখ্য আলোকচিত্র সম্মৃদ্ধ বইটি দেশের অপার সম্ভাবনাময় শিশুদের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে।

জয়ীতা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত স্মারকগ্রন্থটির প্রকাশক ইয়াসিন কবীর জয়। প্রচ্ছদ ও গ্রন্থ পরিকল্পনা করেছেন শাহরিয়ার খান বর্ণ।