স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চলছিল ঝগড়া। এক পর্যায়ে স্বামী দা দিয়ে স্ত্রীকে কোপ দিতে যান। প্রাণ বাঁচাতে স্বামীর হাত থেকে দা কেড়ে নিয়ে সেই অস্ত্র দিয়েই স্বামীর গলায় কোপ দেন স্ত্রী। এতে ঘটনাস্থলেই স্বামীর মৃত্যু হয়। পরে স্বামীর লাশ ঘরের বাইরে রেখে ঘরে এসে শুয়ে পড়েন স্ত্রী। এর কিছুক্ষণ পর স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে কান্নাকাটি ও চিৎকার শুরু করে বলতে থাকেন তার স্বামীকে কে বা কারা খুন করে পালিয়েছে। পরে তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে নিহতের লাশ বাইরে পড়ে থাকতে দেখেন।

বুধবার রাত সাড়ে এগারটায় উপজেলার সল্লাবাদ ইউনিয়নের নিলক্ষীয়া মধ্যপাঁড়া গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত অহিদুজ্জামান ওরফে অমৃত নিলক্ষীয়া গ্রামের মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন।

খবর পেয়ে রাত তিনটার দিকে বেলাব থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেই সাথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী আয়েশা আক্তার ও ১২ বছরের মেয়ে আসমা আক্তারকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবেদ আয়েশা জানান, তিনিই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

অভিযুক্ত আয়েশা আক্তার পুলিশের কাছে জানান,তার স্বামী প্রায়ই গাঁজা সেবন করতেন। গাঁজা সেবন করে প্রায়ই স্ত্রীকে গালাগাল ও মারধর করতো। ঘটনার দিন রাত ৯ টা থেকে আবারও আয়েশার সাথে ঝগড়া শুরু করে অহিদুজ্জামান। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে দা দিয়ে স্ত্রীকে কোপ দিতে যান। এসময় আয়েশার সাথে তার ধস্তা-ধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে স্বামীর হাত থেকে দা কেড়ে নিয়ে উল্টো স্বামীর গলায় কোপ দেন আয়েশা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.আল আমিন(ডিএসবি) এক প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ইব্রাহীম বাদী হয়ে বেলাব থানায় বৃহস্পতিবার মা আয়েশাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

বেলাব থানার ওসি মো. তানভীর আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামি আয়েশাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।