নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে থেকে ভুল আর বেয়াদবির জন্য ক্ষমা চেয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর মো. জহিরুল ইসলাম(২৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার ভোরে বরগুনার বামনার সফিপুর গ্রামে বাড়ির পাশের একটি আমগাছে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় জহিরুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

এর আগে রোববার রাত ১০টায় সিকদার মোহাম্মদ জহিরুল তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে ‘সালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আল্লাহর ওয়াস্তে ভুল বেয়াদবি মাফ করবেন(দোয়ার দরখাস্ত) রইল’ লিখে পোস্ট করেন।

মারা যাওয়া জহিরুল ইসলাম বরগুনার বামনার সফিপুর গ্রামের তৈয়ব আলী সিকাদারের একমাত্র ছেলে।

জহিরুলের পরিবার জানায়, নিজের ভুলে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষোভে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। যার প্রমাণ তিনি ফেসবুকে দিয়ে গেছেন।

জহিরুলের চাচা হুমায়ুন কবির সিকদার জানান, একমাত্র ভাই জহিরুলকে তার দুই বোন খুব ভালোবাসতো। ভাই যখন টাকা পয়সা চাইতো তারা দিতো। সম্প্রতি বাস যোগে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েেছ- এমন মিথ্যা সংবাদ বোনদের দেয় জহিরুল। এরপর সে বোনদের কাছে চিকিৎসার জন্য টাকা চায়। বোনরা তাকে টাকাও পাঠায়। পরে বোনরা টের পায় জহিরুলের কিছুই হয়নি, বরং সে মিথ্যা বলে টাকা নিয়েছে। তখন তারা ভাই কেন মিথ্যা বলেছে সে কথা জানতে চায়। এ ঘটনায় অনুতপ্ত হয়ে দুঃখে জহিরুল আত্মহত্যা করেছে বলে জানান তার চাচা।

বামনা থানার ওসি মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বামনা থানায় একটি অপমুত্যু মামলা হয়েছে। যেহেতু এটা আত্মহত্যা তাই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে লিখিত নিয়ে মরদেহটি দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।