নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, আমাদের কাছে সব ইলেকশনই সমান গুরুত্বপূর্ণ। গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের আলাদা কোন চ্যালেঞ্জ নেই। সব ইলেকশন (ছোট-বড়) আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যেখানেই নির্বাচন হচ্ছে আমরা তা মনিটরিং করছি। আমাদের কাছে ইলেকশ মানে ইলেকশন। আর ইলেকশন মানেই তা গুরুত্বপূর্ণ। গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে আমাদের উপর কোন চাপ নেই। আমাদের পক্ষ থেকেও কারো উপর কোন চাপ নেই। যার যার মতো সে সে নির্বাচনের কাজ করছে। তাতে কোন অসুবিধা নেই।

বুধবার (২৪ মে) বিকেলে গাজীপুর সার্কিট হাউসে নির্বাচন নিয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দিতে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি ওইসব কথা বলেন। এসময় নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল ইসলাম, জাকির হোসেনসহ নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনের আগের দিন কেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে কেন মতবিনিময় করবেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলে, কারণ একটাই, সেটা হলো নির্বাচনের দিন আচরণ বিধি কতটুকু ভঙ্গ হয় কি হয় না। কি অনিয়ম হয় এ বিষয়গুলো জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা সামারি ট্রায়াল করবেন। আমি তাদের সঙ্গে যদি ব্রিফিং করি তাহলে সবকিছুতেই সুন্দর একটা সমন্বয় হয়। এজন্য জুডিশিয়ারী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে এসেছি।

নির্বাচন কমিশন অভয় দিলেও বিভিন্ন হুমকিতে ভোটাররা আতঙ্কিত এমতাবস্থায় ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে পারবে কি-না বা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে কি-না এ প্রশ্নে তিনি ভোটারদের নির্ভয়ে, নি:সংকোচে কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা চাই ভোটারদের উপস্থিতি, অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ একটা ভোট হউক। এটা নিয়ে আমাদের নির্বাচনের কমিশনের ম্যাসেজ হলো- সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠান। এতে কোন ধরণের কোন ব্যত্যয় হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা এটাই করবো, এটা করার জন্যই সচেষ্ট। অবশ্যই আপনারা (ভোটার) কেন্দ্রে নির্ভয়ে আসবেন।

গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ওনাকে আমি বলেছি, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ যাতে কোনভাবেই বিঘিœত না হয়। ওনি আমাকে নিশ্চিত করে বলেছেন, ভোটাররা যাতে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে পারে এ পরিবেশে নিশ্চিত করবো। নির্বাচন কমিশনের একটাই বার্তা সেটা হলো সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। ভোটাররা কেন্দ্রে আসবে এবং স্বাচ্ছন্দ্য ভোট দিয়ে তারা চলে যাবে। তারা যেন বলতে পারেন যে আমরা আমাদের ভোটটা দিয়েছি। আর এর ব্যত্যয় ঘটলে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা কি হবে তা আপনারা দেখতে পাবেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) নির্বাাচনের দিন গাজীপুর সিটি নির্বাচনও মনিটরিং করা হবে। অলরেডি কেন্দ্রে কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়ে গেছে। মনিটরিংয়ে আমরা যদি কোন অনিয়ম পাই, তাহলে সেটা আমরা অবশ্যই আমলে নেব। এটার ব্যাপারে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব করবো না।

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সাথে মিটিং শেষে কেন্দ্র পরিদর্শণে যাবেন। কেন্দ্রে প্রিজাইডং কর্মকর্তা, পুলিশসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়েছে কি-না, মালামালগুলো ঠিক মতো কেন্দ্রে গেছে কি-না, সিসি ক্যামেরা ঠিকমতো সেট করা হয়েছে কি-না, কিভাবে ওই ক্যামেরা কাজ করবে, আবার ক্যামেরায় বুথের ভেতরে দেখা যাবে কি-না এসব দেখতে কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন (ভিজিট) করবেন বলে জানান। কেদ্রগুলোতে ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কি-না আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব তা পরিদর্শন করবো।

বি.দ্র. ৪০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী (লাটিম) আজিজুর রহমান শিরিষের প্রার্থীতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।