রাশিয়ার দূরপ্রাচ্য আর্কটিক মহাসাগর উপকূলে অবস্থিত ইয়াকুতিয়া অঞ্চলের স্থলভাগে বিশ্বের প্রথম পরমাণু প্রযুক্তি ভিত্তিক স্মল মডিউলার রিয়্যাক্টর (এসএমআর) নির্মান করছে রাশিয়া। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ব্যবহৃত হবে এই সর্বাধুনিক RITM-200N রিয়্যাক্টর।

ইতোমধ্যে, এসএমআরটির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নির্মান শুরু করেছে সেন্ট পীটার্স বার্গে অবস্থিত রসাটমের যন্ত্র প্রকৌশল শাখার অধীনস্থ একটি কারখানা। স্টেইনলেস স্টীল থেকে নির্মিত ১৬৫ টনের অধিক যন্ত্রপাতির মেটালার্জিক্যাল ট্রিটমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে।

রসাটম যন্ত্রপ্রকৌশল শাখার প্রধান ইগোর কতোভ বলেন, “ক্ষুদ্র পারমাণবিক কেন্দ্রের চাহিদা ক্রমান্বয়েই বাড়ছে। ক্ষুদ্র রিয়্যাক্টরগুলোকে বিশ্বে পরমাণু শক্তির উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম সম্ভাবনাময়য় হিসেবে বিবেচনা করছে। রাশিয়া এই ক্ষেত্রেও তাদের নেতৃত্ব বজায় রাখতে ইচ্ছুক এবং পরীক্ষামূলক ইউনিটের পরিবর্তে ক্ষুদ্র বানিজ্যিক রিয়্যাক্টর উৎপাদনে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে”।

স্থলভিত্তিক এই ক্ষুদ্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটের নির্মান কাজ সম্পন্ন হলে এটি দূরবর্তী ইয়াকুতিয়া অঞ্চলের এনার্জী সুরক্ষা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। ২০২৮ সাল নাগাদ এটি থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিশ্বে এজাতীয় প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে একটি পাওয়ার ইউনিট থাকছে এবং ইউনিভার্সাল নিউক্লিয়ার আইসব্রেকারে ব্যবহৃত আধুনিক RITM-200 রিয়্যাক্টরের ভিত্তিতে তৈরি RITM-200N রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হচ্ছে। RITM-200N এর তাপ উৎপাদন ক্ষমতা ১৯০মেগাওয়াট এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫৫মেগাওয়াট। এই রিয়্যাক্টরের লাইফ সাইকেল ৬০ বছর এবং ৫-৬ বছর পর পর এটিতে জ্বালানী প্রতিস্থাপন করতে হয়।