দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের কার্ড প্রদানে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা একটি কার্ড প্রদান করে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছেন।
পাবনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ইস্যু করা ০০৫৮ নম্বর এই কার্ড দেখে গণমাধ্যম কর্মীরা কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে পড়েছেন। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় এই কার্ড প্রাপ্ত ব্যক্তি কোন সাংবাদিক নন এবং শারিরীক ও মানসিক প্রতিবন্ধী তিনি! কার্ডটি যাচাই বাছাই ছাড়া কি ভাবে ইস্যু হলো এ নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এর সিএ এমন অপকর্ম অনেকগুলো করেছেন সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তার ব্যস্ততার সুযোগে।

পাবনা ০৫ (সদর) ও পাবনা-৪ ( ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে পর্যবেক্ষন ও সংবাদ সংগ্রহে বহু অসাংবাদিককে জেলা রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সাংবাদিক কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। সিএ’র যোগসাজসে অনেকেই ভুয়া কাগজপত্র, কার্ড বানিয়ে রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালেয় জমা দিয়ে নিয়ম রক্ষার অপকৌশল করে সাংবাদিক কার্ড আয়ত্ব করেছেন।

গুরুত্বপূর্ণ এই কার্ড ইস্যু নিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের এমন দায়িত্বহীন কর্মকান্ডে বহু গণমাধ্যমকর্মি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। অথচ পেশাদার সাংবাদিকদের নির্বাচন কমিশনের সকল নিয়মনীতি মেনেই কার্ড নিতে ধর্না দিতে হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরীফ আহমেদ বলেন, আপনার আগেও এ অভিযোগ একজন করেছেন, বিষয়টি আমি দেখছি। তিনি বলেন, দৈনিক বাংলার খবর নামের পত্রিকার সম্পাদক প্যাডে প্রত্যায়ন করেছিলো, তাই আমি কার্ড দিয়েছি।