সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে পাওয়া সম্মানি ভাতা ও বরাদ্দের তথ্য ফেসবুকে প্রচার করায় প্রথমবার সংসদে আসা র‌্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ওপর চটেছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চুন্ন। ওই বক্তব্যের জবাব জাতীয় সংসদে দিতে পারেননি সুমন। এ বিষয়ে আজ বুধবার আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

প্রশ্নের জবাবে এমপি সুমন বলেন, ‘সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ চুন্নু স্পিকারের কাছে বিচার দিয়েছেন। যেহেতু পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি কথা বলেছেন, সেহেতু আমি উত্তর দেওয়ার সুযোগ পাইনি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি বিরোধিতা করবেন সরকারি দলের, কিন্তু তিনি বিরোধিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর। কী বিষয়ে করছেন? তার তো আরও খুশি হওয়ার কথা যে, আমরা আমাদের হিসাব দেওয়া শুরু করেছি।’

সুমন আরও বলেন, ‘আমার দুঃখ হয়েছে, তার এলাকার মানুষের জন্য, যাদের কাছ থেকে তিনি এমপি হয়ে সংসদে এসেছেন। ওই এলাকার মানুষের অধিকার নেই তাদের এমপি কত টাকা বরাদ্দ পান, সেটা জানার। তার বক্তব্য ছিল, আমি যেন কোনোভাবেই ফেসবুকে না জানাই, কে কত টাকা বরাদ্দ পাই।’

গতকাল জাতীয় পার্টির এমপি চুন্নু বলেন, ‘আমাদের হাউজের একজন সংসদ সদস্য। নামটা বলতে চাই না, তিনি নতুন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ফেসবুকে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে আমরা সবাই ভুক্তভোগী।’

ফেসবুকে সুমন কী বলেছিলেন, তা উল্লেখ করে চুন্নু বলেন, ‘তিনি (সুমন) বলেছেন, “আপনারা জানেন এমপিরা কত টাকা বেতন পান তারা তো বলে না, গোপন করে।” তিনি বলেছেন, ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা বেতন (মাসিক) পেয়েছেন। আমরা কত টাকা বেতন পাই তা লুকানোর কিছু নেই, ওয়েবসাইটে গেলে পাওয়া যাবে।’

চুন্নু বলেন, ‘তিনি আরও বলেছেন, “তিন মাসের মধ্যে ২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি।” সেটা কীভাবে পেলেন? তিন কোটি টাকা গমের জন্য। আর বাকি ২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন রাস্তার জন্য।’

স্পিকারের উদ্দেশে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘এই ২৮ কোটি টাকা কি আমি পেয়েছি? আপনি (স্পিকার) পেয়েছেন? প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন? ইতোমধ্যে ফেসবুকে দেখে আমাকে অনেকেই বলছেন, ‘২৮ কোটি টাকা পেয়েছেন, এই টাকা কই?’ তিনি (সুমন) বলেছেন, ২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন, কিন্তু আমরা তো পাইনি।’