যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি সত্ত্বেও ইসরাইলি বাহিনী বৃহস্পতিবার গাজার রাফা এলাকায় অনেক ট্যাংক মোতায়েন করেছে। তারা হেলিকপ্টারযোগে রাফায় হামলাও চালিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরাইলি প্রতিনিধিদল কায়রো গেলেও তারা এখনো প্রস্তাবটি গ্রহণ করছে না। বরং প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট গাজায় ইসরাইলি লক্ষ্য হাসিলের ঘোষণা করেছেন। এদিকে হামাসের প্রতিনিধিদল মিসর ত্যাগ করেছে। তারা জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে আর ছাড় দেবে না।

মিসরের সরকার-সংশ্লিষ্ট আল কাহেরা টিভি যুদ্ধবিরতি আলোচনার সাথে পরিচিত একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে অবশ্য জানিয়েছে, বিদ্যমান মতানৈক্য নিরসন করা হয়েছে, চুক্তিতে সই হওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে এতে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।

এদিকে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরের সদস্য ইজ্জাত আল-রাশক এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নেয়া হামাসের প্রতিনিধিদল কায়রো থেকে দোহায় রওনা হয়ে গেছে।

তিনি নিশ্চিত করেন যে মিসর ও কাতারের মধ্যস্ততাকারীদের কাছ থেকে যে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব তারা পেয়েছেন, তাতে তারা অটল থাকবেন। তিনি বলেন, রাফায় ইসরাইলি সামরিক পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভণ্ডুল করার চেষ্টা।

গত তিন দিন ধরে মিসর হামাস, ইসরাইল, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সাথে কথা বলে একটি সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সোমবার হামাস মিসরের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করার কথা ঘোষণা করে। ইসরাইল এই প্রস্তাব তাদের মনঃপুত নয় বলে জানিয়েছে।

এদিকে রাফায় ইসরাইল তাদের শক্তি বৃদ্ধি করার প্রেক্ষাপটে হামাস ও ইসলামিক জিহাদ জানিয়েছে, তারা ইসরাইলি অবস্থানগুলোর ওপর ট্যাংকবিধ্বংসী রকেট এবং মর্টার নিক্ষেপ করেছে।

এদিকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট তার দেশের ‘শত্রু ও মিত্রদের’ প্রতি বার্তা দিয়ে জোর দিয়ে বলেছেন, উত্তর ও দক্ষিণে ইসরাইল তার লক্ষ্য হাসিল করবে।

তিনি বলেন, আমি ইসরাইলের শত্রু ও সর্বোত্তম বন্ধুদের বলছি, ইসরাইল, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা এস্টাবলিশমেন্ট নত হবে না। আমরা আমাদের লক্ষ্য হাসিল করব। আমরা হামাসের ওপর হামলা করবই, আমরা হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করবই। আমরা অবশ্যই নিরাপত্তা বয়ে আনব।

সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল, ডেইলি সাবাহ এবং অন্যান্য