চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা। বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ এই ত্রি-স্মৃতি বিজরিত বুদ্ধ পূর্ণিমা।

বুধবার (২২ মে) সকালে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে বিভিন্ন বিহারের অধ্যক্ষ ও দায়ক-দায়িকাদের অংশগ্রহণে এই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

শোভাযাত্রাটি রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার হরিণগেট সংলগ্ন কেন্দ্রীয় সৈয়দবাড়ি ধর্মচক্র বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে কাপ্তাই সড়কের থানাসদর, রোয়াজারহাট, ঘাটচেক ও ইছাখালীসহ প্রায় চার কিলোমিটার সড়ক ও উপজেলা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তমঞ্চে এসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রায় সুসজ্জিত পরিবহণ এবং রঙ-বেরঙের বৌদ্ধ পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে হাজারো পুণ্যার্থী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী ও পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

দেশের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শান্তি শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙ্গুনিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতি ও উদযাপন পরিষদের সভাপতি ধর্মসেন মহাথেরো। সমাপনী বক্তব্য দেন উদযাপন পরিষদের কার্যকরী সভাপতি মনিলাল তালুকদার। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান মেহেবুব। উদ্বোধক ছিলেন উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উত্তমানন্দ থের। ধর্মদেশক ছিলেন উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নন্দশ্রী ভিক্ষু, অর্থ সম্পাদক সত্যানন্দ স্থবির। উদযাপন পরিষদের প্রকাশনা সচিব সুজিত তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়কারী পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দী, সুদত্ত বড়ুয়া, সঞ্জয় বড়ুয়া সতু, পলাশী মুৎসিদ্দী, সুব্রত বড়ুয়া, শিক্ষক অরুণ বড়ুয়া, ছোটন বড়ুয়া, সত্যপ্রিয় বড়ুয়া কাবুল, শুক্লা মুৎসুদ্দী, সমীর বড়ুয়া শিমুল, শিক্ষক অসীম বড়ুয়া, দোলন বড়ুয়া, যতীশ কুমার বড়ুয়া, তরুণ বড়ুয়ার, সোহেল তালুকদার, চন্দন বড়ুয়া, পঙ্কজ কুসুম বড়ুয়া, বিপন বড়ুয়া, প্রবীর মুৎসুদ্দী জুয়েল, ক্লিনটন বড়ুয়া, প্রিয়তোষ বড়ুয়া প্রমুখ। শেষে মানব জাতির শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

উল্লেখ্য, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহা-পরিনির্বাণ এ ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত বুদ্ধ পূর্ণিমা। তাই বৌদ্ধদের জন্য দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় বলে মনে করেন বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা।

মুবিন বিন সোলাইমান
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি