ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই দেশের পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ইতোমধ্যে দেশে সন্দেহভাজন তিনজনকে ধরা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কে সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি।

আজ বুধবার ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, কিভাবে এ হত্যালাণ্ড ঘটল এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চলছে। যারা আটক হয়েছেন তারা সবাই বাংলাদেশি। ভারতীয় পুলিশ যে তথ্য দিয়েছে, তার ভিত্তিতে যাদের সন্দেহ হয়েছে- এমন তিনজনকে ধরা হয়েছে। আরও কয়েকজনকে ধরার চেষ্টা চলছে।

মন্ত্রী বলেন, আজ সকালে আমরা সুনিশ্চিত হয়েছি যে, তিনি খুন হয়েছেন। ভারতীয় পুলিশ আমাদের জানিয়েছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ঝিনাইদহের এই আসনটি সন্ত্রাসপ্রবণ এলাকা। এখন পর্যন্ত যাদের এ ঘটনার জেরে আটক করা হয়েছে, তারা সবাই বাংলাদেশি। এই হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ উদ্ধারে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করছে। এক্ষেত্রে ভারতীয় পুলিশও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক যত ওয়ে (উপায়) রয়েছে, তা কাজে লাগানো হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় ভারতের জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। ভারতের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। এই ঘটনা দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

এর আগে গত ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। এরপর ১৬ মে তার সঙ্গে শেষ কথা হয় পরিবারের সঙ্গে। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরে বুধবার তার ভাড়া করা ফ্ল্যাট থেকে আজিমের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আনোয়ারুল আজিম ঝিনাইদহ-৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য এবং ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। আনোয়ারুল আজিম আনারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।