National-Parliament-of-Bangladesh_jpg
প্রয়োজনে পদত্যাগ করবে জাপার মন্ত্রীরা!

সরকারের কোন অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত জাতীয় পার্টি মেনে নেবে না। প্রতিবাদ জানিয়ে প্রয়োজনে জাপার মন্ত্রীরা সরকার থেকে পদত্যাগ করবে এবং সংসদেও এর বিরোধিতার পাশাপাশি ওয়াকআউট করবে। তবে তথাকথিত বিরোধীদলের মতো শুধুমাত্র সরকারের সব কাজে বিরোধিতা করবে না।

সোমবার সংসদে এসব কথা বলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় পার্টি নেতা মুজিবুল হক চুন্নূ। তিনি বলেন, যে সংসদে ৫ বছরে বিরোধীদলীয় নেতা মাত্র ১০ দিন সংসদে আসেন, গাড়ি-বাড়ি সব সুযোগ সুবিধা নিয়েও সংসদ বর্জন করেন, সেরকম বিরোধীদলের কোন প্রয়োজন নেই। জাতীয় পার্টি এরকম বিরোধী দল হতে চায় না।

এর আগে পয়েন্ট অব অর্ডারে স্বতন্ত্র সদস্য জাপার সাবেক নেতা রুস্তম আলী ফরাজী সংসদে বিরোধী দল হিসেবে  জাতীয় পার্টির ভূমিকা কি হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, পৃথিবীর কোথাও সরকারেও আছে বিরোধী দলেও আছে এরকম বিরোধী দল রয়েছে কিনা তা তার জানা নেই। কোন বিল পাসের সময় জাপার ভুমিকা কি হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তার এই বক্তব্যের পর এ নিয়ে সংসদে কিছু সময়ের জন্য বিতর্ক হয়।

রুস্তম আলী ফরাজীর বক্তব্যের জবাব দেন জাপার মুজিবুল হক চুন্নূ। তিনি বলেন, ইজরায়েল ও জার্মানিতে জাতীয় পার্টির মতোই বিরোধী দল রয়েছে। ওখানকার বিরোধী দলের সদস্যরাও সরকারের মন্ত্রী হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানেও বিরোধী দলের সদস্যরা মন্ত্রীপরিষদে ছিল।

তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানের কোথাও লেখা নেই যে বিরোধী দলে থাকলে সরকারের মন্ত্রী থাকা যাবে না। আর বিল পাসের সময় বিরোধী দলের সঠিক ভূমিকাই পালন করবে জাপা। এনিয়ে কারো চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তিনি বলেন, যে সংসদে বিরোধী দল শুধুই জাতির জনকের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে, সংসদ বর্জন করে সেরকম বিরোধী সংসদে না থাকলে কিছুই যায় আসে না।

এর পরে কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের প্রশংসা করে বলেন, তাঁর মানবিক গুণের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। রওশন এরশাদ অন্তবর্তীকালিন সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে তখনকার বিরোধী জোটের হরতাল অবরোধে সহিংসতার শিকার মানুষদের দেখে নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেন, এভাবে চলতে পারে না। রওশন এরশাদের এই মানবিক গুণে জন্য তার প্রশংসা করছি।

তিনি রুস্তম আলী ফরাজীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জাপাকে বিরোধী দলের ভুমিকা পালনে উৎসাহ দেন ঠিক আছে। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীদের মানুষ মারার রাজনীতিতে যেন উৎসাহ না দেন।