12761_32
বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পুলিশের প্রেম

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা আর বিক্ষোভে উত্তাল ইউক্রেন। এরই মধ্যে রাজপথে জন্ম নিয়েছে দারুণ এক ভালবাসার গল্প। বিক্ষোভকারী আরেক পুলিশ সদস্য একে অপরের প্রেমে পড়েছেন। ২৪ বছর বয়সী লিডিয়া প্যানকিভ পেশায় একজন সংবাদকর্মী। পুলিশ কর্মকর্তা আর বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মানবদেয়াল তৈরি করতে যেসব নারী অংশ নিয়েছেন- লিডিয়া তাদের মধ্যে একজন। পুলিশ সদস্যদের বেশ কাছাকাছি দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এমন সময় এক বন্ধুর কল আসে ফোনে। আটককৃত এক বন্ধুকে খুঁজে বের করতে লিডিয়ার সাহায্য চায় সে। ঘটনাটি নিয়ে লেখালেখি করার অনুরোধ জানায় তাকে। লিডিয়া তখন এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলার জন্য তার ব্যক্তিগত নম্বর দেয়। অনেক শোরগোল থাকায় দু’বার উচ্চস্বরে বন্ধুকে নম্বরটি বলে। পরে যে কলের অপেক্ষায় ছিলেন লিডিয়া তার বদলে একটি মেসেজ আসে তার ফোনে। মেসেজটি ছিল একজন পুলিশ কর্মকর্তার। আন্দ্রেই নামে ওই পুলিশ সদস্য তার ঠিক উল্টো দিকে দাঁড়িয়েছিলেন রাজপথে। চাকরি হারানোর ভয়ে তার পুুরো নাম জানায়নি আন্দ্রেই। তবে মেসেজে লিখেছেন তিনি লিডিয়াকে বিয়ে করতে চান। সশস্ত্র পুরুষদের মাঝখানে অরক্ষিত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থেকে বিক্ষোভকারীদের রক্ষা করার প্রচেষ্টায় লিডিয়ার সাহসী ভূমিকা দেখে মুহূর্তেই প্রেমে পড়ে যান আন্দ্রেই। তাদের প্রচেষ্টার কারণে যখন ওই পুলিশ দল সরে যায় আন্দ্রেই তখন আরও অভিভূত হন। মেসেজে আন্দ্রেই লিখেছেন, এতো শোরগোলের মধ্যেও তোমার নম্বর মনে ছিল, যখন তুমি তোমার বন্ধুকে নম্বরটি দাও। আমি তোমার নামও জানিনা। ওই রাতে আমি তোমার সামনে ঢাল হাতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। যখন তুমি আমাদের অগ্রসর হতে বাধা দিলে, তখনই আমি উপলব্ধি করলাম যে আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। এরপর ময়দান স্কয়ারের বেরিকেড আর ধংসস্তূপের সামনে তারা প্রথম দেখা করে। মেসেজ পেয়ে বেশ আশ্চর্য হয়েছিলেন লিডিয়া। তিনি বলেন, কেন দেখা করতে রাজি হয়েছিলেন সেটা নিজেও জানেন না। ভেবেছিলেন হয়তো তাকে বোঝাতে সক্ষম হবেন যে আন্দ্রেই ভুল পক্ষের অবস্থান নিয়েছেন। তিনিও যে প্রেমে পড়ে যাবেন এমনটা আশা করেননি। পরস্পরের মধ্যে দেখা আর কথাবার্তা হওয়ার পর সেটাই হয়ে যায়। দু’জনের মধ্যে সৃষ্টি হয় ভালবাসার বন্ধন।