1
File Photo

দৈনিক বার্তা : রাজধানীর চানখাঁরপুলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অনারারি চিকিৎসক মোমিনুল ইসলামকে মারধরের প্রতিবাদে জরুরী বিভাগে চিকিসা সেবা বন্ধ রয়েছে। রোববার সকাল থেকে কাজে যোগ দেননি ঢাকা মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এতে রোগী ও তাদের স্বজনরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সকালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। শনিবার রাতে ঢামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ইউনিট-৩-এর অনারারি চিকিৎসককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর হাসপাতালে ব্যাপক বিক্ষোভ করে চিকিৎসকরা এবং জরুরী বিভাগ প্রায় এক ঘন্টা বন্ধ ছিল।
জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ইউনিট-৩-এর অনারারি চিকিৎসক মোমিনুল ইসলাম (২৮) ও তাঁর বন্ধু নুরুল ইসলাম বাবু চানখাঁরপুল সোহাগ হোটেলে রাতের খাবার খেতে যান। এ সময় ছয়-সাত যুবক তাঁদের চিকিৎসক কি না জিজ্ঞেস করে। চিকিৎসক পরিচয় দেওয়ার পরপরই যুবকরা মোমিনুলকে মারধর করতে থাকে। এ সময় বাবু এগিয়ে এলে তাঁকেও মারধর করা হয়। যুবকদের পিটুনিতে মোমিনুলের মাথা ফেটে যায়।
ডাক্তার আহত হওয়ার খবর পেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জরুরি বিভাগে এসে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এসময় জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ ছিল।
খবর পেয়ে ঢাকা মেডিক্যালের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ইসমাইল খান ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান এসে চিকিৎসকদের শান্ত থাকার অনুরোধ করেন। রাত ১২টার পর থেকে হাসপাতালে নতুন করে রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে অবশ্য ভর্তি কার্যক্রম চালু এবং জরুরি বিভাগেও কাজ শুরু হয়। হাসপাতালের ভেতরে মিছিল বের করায় রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে দেখা দেয় আতঙ্ক। যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে হাসপাতালের চারপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ চারপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার লিফটে ওঠা নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে পেটান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র কিছুক্ষণ পর হাসপাতালে গিয়ে জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালান। এর প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ওই দিন সাড়ে তিন ঘণ্টা মেডিকেল কলেজের ফটক বন্ধ করে রাখেন। এতে রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।