najim.pic-নাজিম হাসান/দৈনিক বার্তা : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার প্রধান রাস্তাসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের রাস্তা গুলোর বেহালদশা দেখা দিয়েছে। বড় আকারে ফাটল, খানা-খন্দ এবং বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে রাস্তা গুলোতে। শুকনো মৌসূম জুড়ে ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত মালবাহী যানবাহনের চাপে সড়কগুলোর ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ ছাড়াও ক্রমাগত গত বষার্য় পানি জমে থেকে করুনদশার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার বঞ্চিত ওইসব সড়কের বিভিন্ন স্থানে উঠে গেছে বিটুমিন, পাথর ও খোয়াসহ এজিংয়ের ইট। ছোট বড়  গর্তের সৃষ্টিসহ কোথাও কোথাও দেবে গেছে সড়কের একপাশ। সাম্প্রতিক উপজেলার অনেক রাস্তা ধ্বসে গিয়ে চলাচলে ঝুকি বাড়িয়ে দিয়েছে। উপজেলার প্রধান সড়ক ভবানীগঞ্জ থেকে কেশরহাট,  তাহেরপুর থেকে পুঠিয়া, ভবানীগঞ্জ থেকে মাতাভাঙ্গা হয়ে হাটগাঙ্গোপাড়া পর্যন্ত চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কগুলোর বিভিন্ন অংশের বিটুমিন, ইট, সুরকির কোন হদিস নেই। পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থানে মাটি বেরিয়ে কাদার সৃষ্টি হয়ে চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে যানবহন, মালবাহী গাড়ী ও পথচারীদের। এসব সড়ক ছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রামের ইটের রাস্তার চেহারা আরো করুন রুপ ধারন করেছে। উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ থেকে তক্তপাড়া হয়ে ঝিকরার রাস্তা এলাকাবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন প্রায়ই দূর্ঘটনায় পড়ে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। এছাড়াও উপজেলার হামির কুৎসা টু বীরকুৎসা রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সাড়ে ৮ কিঃমিঃ রাস্তাটির বেহালদশা । কাঁচা,পাকা ও কিছু খোয়া বিছানো এই রাস্তাটির বেহালদশাটি যেন দেখার কেউ না থাকায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার জন সাধারনের ।
এলাকা সুত্রে জানা গেছে, এ রাস্তা পাকা না হওয়ায়  জনসাধারনকে বাগমারা উপজেলা সদর থেকে থানা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে যেতে অনেক পথ ঘুরে যেতে হয় । যোগীপাড়া ইউনিয়নের বীরকুৎসা থেকে উপজেলা সদরে ১৫ কিঃমিঃ, হামিরকুৎসা ইউনিয়নের শ্রীপতি পাড়া হতে উপজেলা সদরে ৭কিঃমিঃ ও গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের পলাশী গ্রামের লোকজনকে ৬ কিঃমিঃ পথ ঘুরে যেতে হয় । এই কয়েকটি ইউনিয়নের দায়িত্বে যোগীপাড়া ইউপি’র ভাগনদী বাজারে রয়েছে আইন শৃংখলা রক্ষার্থে একটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র । রক্তাক্ত জনপদ হিসেবে খ্যাত রাজশাহীর বাগমারার অবহেলিত এই রাস্তাটির জরাজীর্ণতার কারনে আইন শৃংখলা রক্ষা ব্যাহত হচ্ছে বলে ওই তদন্ত কেন্দ্রের একাধিক পুলিশ জানায় । এছাড়া রাস্তাটি খারাপ হওয়ার কারনে নিদিৃষ্ট সময়ে ট্রেন ধরতে পারেননা বলে জানান অনেক যাত্রী। এব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য প্রধান প্রকৌশলী বরাবর ২০১০সালের ৫মার্চ সম্ভাব্য ব্যয় প্রস্তাব পাঠানো হয় । যাহার গেজেট নং ছিল ২৫২ । উক্ত তারিখ ছাড়াও আরো একাধিক বার এ রাস্তাটির সম্ভাব্য ব্যয় প্রস্তাব উর্ধ্বতন মহলে অবহিত করেও কোন কাজ হচ্ছেনা বলে সংশি¬ষ্ট সূত্র জানায় । সাড়ে ৮ কিঃমিঃ এ রাস্তাটির প্রথমে ২২০০ মিঃ পাকা, তারপরের ১২০০মিঃ খোঁয়া,১০০ মিঃ কাঁচা,৪০০মিঃ,খোয়া, পরে ২৮০০মিঃ কাঁচা এবং পরের অংশটি বীরকুৎসা রেল স্টেশন পর্যন্ত পাকা হলেও জরাজীর্ণ অবস্থায় গাড়ী চলাচলের অযোগ্য প্রায় হয়ে আছে। বিশাল বাগমারা আয়তনের কারনে পূর্ব ও পশ্চিম বাগমারা এ দুটি অংশে বিভক্ত । কয়েকটি ইউনিয়নের প্রধান এই রাস্তাটি পূর্ব বাগমারার প্রধান রাস্তা হওয়ায় বেশী দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ অংশের মানুষের । বর্ষা মৌসূমে এ রাস্তাটির কিছু অংশ গাংগো পাড়া বাজারের কাছে প্রায় ৫০০মিঃ রাস্তা পানিতে তলিয়ে যায় । অতি সত্বর এ রাস্তাটি নির্মানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী ।পাকা সড়কগুলোর বেহালদশা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ওইসব জরাজীর্ণ সড়কগুলো সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।