1
File Photo

নাজিম হাসান/দৈনিক বার্তা : রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার একটি সরকারী খাস পুকুর অবৈধভাবে লীজ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা জলমহাল কমটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি করেছেন ভবানীগঞ্জ পৌরসভার কসবা মহল¬ার বাসিন্দা কসবা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।এ অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা সমবায় অফিসার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়রসহ বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা ভবানীগঞ্জ পৌরসভার কসবা মৌজার আরএস ১৬৯২ নং দাগে ১.৪৬ শতক আয়তনের একটি সরকারি খাস পুকুর ইজারা দেওয়ার জন্য সম্প্রতি উপজেলা জলমহাল কমিটির সভাপতি কর্তৃক টেন্ডার বিজ্ঞাপ্ত প্রকাশ করা হয়। পুকুরটি লীজ পাওয়ার জন্য কসবা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি’র পক্ষে ৬ এপ্রিল সিডিউল পূরন করে দরপত্রের মাধ্যমে আবেদন করা হয়। পুকুরটি বর্তমানে কসবা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি’র দখলে থাকায় ২০০৯ সালের সরকারি বিধি অনুযায়ী তাদেরই পাওয়ার কথা। কিন্তু সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ সরকারি নীতিমালা লংঘন করে পুকুরটি প্রায় ৮/১০ কি:মি দূরে অব¯িহত উপজেলার বারানই (মধ্যাংশ) মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে অবৈধভাবে লীজ দেওয়ার চেষ্টা করছে। কাজেই পুকুরটি বিধি অনুযায়ী কসবা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি’র অধীনে লীজ দেওয়ার জন্য সংশ্লি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয়েছে।কিন্তুু বাগমারা ভুমি অফিসের এসিল্যান্ড পদ শুন্য থাকার সুবাধে অফিসের অন্যান্য কর্মচারী ও দালালেরা বারানই (মধ্যাংশ) মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে অবৈধভাবে লীজ দেওয়ার চেষ্টা  করে যাচেছ।
এ বিষয়ে উপজেলা জলমহাল কমটির বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদেকুল ইসলামের সাথে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুওে যোগাযোগ করা হলে তিান বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বিধিগতভাবে পুকুরটি যারা লীজ পাওয়ার যোগ্য তারাই পাবেন।