1দৈনিক বার্তা :  নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনাকে ইস্যু করে অতি উৎসাহী রাজনীতিকরা  দেশে  নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

নারায়ণগঞ্জের ঘটনা নিয়ে কোনো জজ মিয়া নাটক তৈরি করা হবে না উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, এ ঘটনাকে পুঁজি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির  চেষ্টা চলছে।সরকার এ ঘটনার তদন্তের স্বার্থে সবধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির মহড়া কক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কামরুল বলেন,নারায়ণগঞ্জের ঘটনার বিচার হবে।সঠিক বিচার ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি এই ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। যেখানে বিচার ও তদন্ত হচ্ছে  সেখানে কিছু অতিউৎসাহী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতারা ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। কিন্তু তা এদেশের মাটিতে  কোনো দিনই সফল হবে না।

টিআইবি, সুজন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’র মতো বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠননের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই সংগঠনগুলো প্রধানমন্ত্রীর সংসদীয় গণতন্ত্রের ক্ষমতা কমানোর কথা বলছে। তারা বিএনপির সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলে।

বিএনপির  চেয়াপরসন  বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া মূর্খের মতো বলেছেন, বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমান নাকি জাতিকে বিভক্ত করেছেন। তাই তাকে জাতির পিতা হিসেবে মানা যায় না।

কত বড় ধৃষ্টতা হলে এমন বক্তব্য দিতে পারেন। তবে এমন ফিরিস্তি দিয়ে গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করতে পারবে না বলেও জানান এই নেতা।

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র চলছে। নারায়ণগঞ্জের ঘটনার পর  ও  প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সরিয়ে  নেওয়া হয়েছে। সরকার এর সুষ্ঠু বিচার করতে সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারপরও  কেন এত মন্তব্য? বিএনপির  চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) বক্তব্যে মিল খুঁজে  পেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, র‌্যাব বিলুপ্তি নিয়ে খালেদা জিয়া ও এইচআরডব্লিউর বক্তব্য সম্পূর্ণ মিল। আমাদের বুঝতে হবে এসব সংগঠন কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়।

কামরুল ইসলাম বলেন, নারায়ণগঞ্জে একটি ঘটনা ঘটার পর র‌্যাব ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সরিয়ে  নেওয়া হয়েছে। তাহলে  কেন এসব মন্তব্য। আসলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনার পর জড়িত সন্দেহে তিন র‌্যাব কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, এ জন্য ওই এলাকার প্রশাসনের সব কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতা থাকার সময় ২১ আগস্ট  গ্রেনেড হামলা হলো, কই, একজন পুলিশকেও  তো বহিষ্কার করা হলো না। কাউকে শাস্তি  দেওয়া হয়নি। বরং তাদের পুরস্কৃত করা হয়।

কামরুল বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় কাউকে ছাড়  দেওয়া হবে না।  কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারে, সে সুযোগও দেওয়া হবে না। তিনি অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জ গেছেন রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য।  যে ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছেন তা ব্যর্থ হবেই, হবে।

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল  হোসেন, ঢাকা মহনগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সহ-সভাপতি ড. এনামুল হক, উপদেষ্টা জি এম আতিক, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।