11দৈনিক বার্তাঃ ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হক একরাম নৃশংসভাবে খুন হন মঙ্গলবার (২০ মে)। এ খুনের একদিন আগেই ফেনী থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক হাজারিকা প্রতিদিন’ ও ‘সাপ্তাহিক হাজারিকা’য় একরামুল হক একরাম খুন বা গুম হতে পারেন বলে আগাম আশঙ্কার কথা প্রকাশ করা হয়েছিল। হাজারিকা প্রতিদিনে বড় শিরোনামে এ আশঙ্কার সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
খুন হওয়ার মাত্র একদিন আগে ১৯ মে সোমবার ফেনী থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক হাজারিকা’ ও ‘সাপ্তাহিক হাজারিকা’ পত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘নিজাম (হাজারী) এখন উভয় সঙ্কটে, প্রতিপক্ষকে খুন ও গুমের পরিকল্পনা করা হচ্ছে’। ওই প্রতিবেদনে সম্ভাব্য যাদের খুন ও গুম করা হতে পারে, তাদের একটি তালিকা দেয়া হয়েছিল। সেই তালিকায় প্রথম নামটিই ছিল ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হক একরামের। তালিকায় থাকা বাকি নামগুলোর মধ্যে ছিল সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং জয়নাল হাজারীর নামও।
সাপ্তাহিক হাজারিকায় প্রকাশিত সংবাদে যা ছাপা হয়েছিল, তা হলো ‘কয়েকদিন আগে মহীপালের মিজি স্বপনও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহানের সঙ্গে দেখা করেছেন। আর নিজাম ও তার দোসররা কেবলই গবেষণা করে, কারা তার বিরুদ্ধে কাজ করছে সে তথ্য সংগ্রহের। তাদের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে কাজ করছেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জয়নাল হাজারী, চেয়ারম্যান আরজু, চট্টগ্রামের একজন বিচারক, ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরাম, যুবলীগ নেতা সাবেক কমিশনার শাখাওয়াতসহ আরও অনেকেই। এদের মধ্যে কাউকে কাউকে গুম করা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। যদিও একবার হাশেম খানের ভাইকে বাড়ি থেকে গুম করে হত্যার হুমকি দিয়ে হাইকোর্টে এনেছিল এবং ছোট বাবুকে দিয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়েছিল। এখন কি সেভাবে সব করা সম্ভব হবে? মনে হয় আগের মতো সেভাবে সবকিছুতে সফল হওয়া সম্ভব নয়। টাকা দিলে কখনও অনেক কিছু সম্ভব_ এ কথা সত্য, কিন্তু সবকিছু সম্ভব নয়। ইকবাল সোবহান চৌধুরী কীভাবে জড়িত, কেউ তা বলতে পারে না। তবে তাকে খুন বা গুম করা একেবারেই সম্ভব নয়।’
একরামুল খুন হওয়ার পর থেকেই ফেনী জেলার রাজনীতি ফের আলোচনায় উঠে এসেছে। আর অপরাধী যে-ই হোক, তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাজারীর টার্গেটে এরশাদের নাম না থাকায় সন্দেহের তীর এখন এ সংসদ সদস্যের দিকেই।