1নাজিম হাসান/দৈনিক বার্তাঃ  ধর্ষনের চেষ্টা কারীর বিচার না করায় স্বামী বাড়ী ছেড়ে বাবার বাড়ীতে আশ্রয় নিলেন গৃহবধু ময়না বেগম(২৯) (ছদ্দনাম)। ঘটনাটি ঘটেছে বাগমারা উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের ছোট্ট মাধাইমুড়িপাড়া গ্রামে। ওই ঘটনায় গৃহবধু নিজেই বাদী হয়ে লম্পট মাহাফুজুর রহমানকে আসামী করে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বাগমারা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। ওসি এজাহারটি মামলা হিসাবে রুজ্জ না করে অভিযোগ হিসাবে গ্রহন করে তদন্তের জন্য থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আতাউর রহমানকে তদন্তের জন্য দায়ীত্ব দেন। তদন্তে সত্যতা মিললেও পুলিশ মামলা না করে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য বাদীপক্ষকে চাপ দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
থানার দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ মে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঝিকরার ছ্ট্টো মাধাইমুড়িপাড়া গ্রামের জনৈক ভ্যান চালকের স্ত্রী ময়না বেগম গাভীর জন্য ঘাস তুলতে যায়। ঘাস তুলার এক পর্যায়ে লম্পট মাহাফুজুর রহমান ময়না বেগমকে ঝাপটে ধরে মাটিতে ফেলে ধর্ষনের চেষ্টা চালাই। ময়না বেগমের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসলে লম্পট মাহাফুজুর রহমান পালিয়ে যায়। এসময় লোকজন ময়না বেগমকে উদ্ধার করে তার বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং গ্রাম্য মাতববরদের বিষয়টি অবহিত করেন। মাহাফুজুর প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রাম্য মাতববরেরা ময়না বেগমেরর বিচার না করে ফিরিয়ে দেয়। ওই দিন সন্ধ্যায় ময়না বেগম তার ভ্যান চালক স্বামীকে নিয়ে বাগমারায় থানায় মাহাফুজুর রহমানকে আসামী করে ধর্ষনের চেষ্টা ও শ্রীলতাহানির এজাহার দায়ের করেন। ওসি এজাহারটি মামলা হিসাবে গ্রহন না করে তদন্তের জন্য থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আতাউর রহমানকে দায়ীত্ব দেয়। এজাহারটি তদন্ত করে সত্যতা পেলেও মামলা রুজ্জ না করে পুলিশ আসামীর পক্ষ অবলম্বন করে তা মিমাংসার জন্য বাদী পক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। মামলা করে সুষ্ট বিচার না পেয়ে অবশেষে গৃহবধু ময়না বেগম স্বামীর বাড়ী ছেড়ে বাবার বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে। গৃহবধু ময়না বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমরা গরীব বলে পুলিশ আসামীদের পক্ষ নিয়ে আমাদেরকে মামলা মিমাংসার কথা বলছে। মামলা মিমাংসা না করলে আমি ও আমার স্বামীকে নাজেহাল করবে বলেও পুলিশ হুমকি দিচ্ছে বলে তার স্বামী ভ্রান চালক আব্দুর হোসেন জানান।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক এসআই আতাউর রহমান বলেন, বাদী মাহাফুজুর রহমানের জমিতে ভুট্টার পাতা ভাংতে গিয়েছিল। পাতা ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে সামান্য একটু ঘটনা ঘটেছে।ঘটনাটি মিথ্যা হওয়ায় আসামী মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। অপর দিকে বিষয়টি নিয়ে বাগমারা থানার ওসি আবু ওবাইদার সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।