15দৈনিক বার্তাঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন,যুদ্ধ ও ধ্বংসের পরিবর্তে শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে শিক্ষিত নতুন প্রজন্ম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও শংকামুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে সমর্থ হবে।মঙ্গলবার জাপানের ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘শিক্ষা ও যুবসমাজের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে  দেওয়া ভাষণে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী নতুন প্রজন্মকে একই পরিবারের সদস্য হিসেবে এ ব্যাপারে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।প্রধানমন্ত্রী বলেন,  সেদিন  বেশি দূরে নয় যখন তারা জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট সকল চ্যালেঞ্জ ও বাধা দ্রুত দূর করবে। সেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটি পারস্পরিক মতবিনিময় অনুষ্ঠানেও  যোগ  দেন।অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস  প্রেসিডেন্ট উচিদা কাতসুইচিও বক্তব্য রাখেন।

শিক্ষার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, তরুণ শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা আমাদের প্রজন্মের দ্বায়িত্ব ও কর্ত্যব্য । যাতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা  ওকাটিয়ে উঠতে পারে।তিনি বলেন, তার সরবার শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম গড়তে শিক্ষাকে সবার্ধিক গুরুত্ব দিচ্ছে । কেননা শিক্শিত তরুণ প্রজন্ম তাদেও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় খুবই পারদর্শী।

শেখ হাসিনা বলেন, এ বছরের জানুয়ারিতে ৩ কোটি ৭০লাখ শিক্ষার্থীও মাঝে ৩১ কোটি ৭০লাখ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক জেন্ডার এবং মেয়েদেও বিনা বেতনে স্নাতক পয়র্ন্ত শিক্ষাদান অব্যাহত রাখেতে সরকার সাহায্য কওে যাচ্ছে।জাপানকে বাংলাদেশর বিশ্বস্ক ও বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশেরআর্থসামাজিক অগ্রগতি ,দারিদ্রতা হ্রাস ও এমডিজির বিভিন্ন লক্ষমাতওা অর্জনে জাপানের অর্থনেতিক সহায়তা আমাদের সাহায্য করেছে।

১৬ কেটি মানুষের দেশের উল্লেখযোগ্য অংশ তরণি  ওছাত্র উল্লেখ কওে শেখ হাসিনা বলেন, এর মধ্যে তাদের একটি বড় অংশ প্রতিবছর উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিদেশ যাচ্ছে।তিনি সন্তুষ প্রকাশ কওে বলেন, এসব ছাত্র তাদেও শিক্ষা  ও গবেষণা শেষ করে দেশে ফিরে বাংলাদেশের উন্নয়নে বিজ্ঘানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে  অবদান সহ চিকিৎসা  ওআইটি কে।সত্রে অবদান রাখেছে।

গত ৪০ বছওে জাপান  ওভারসিস কো- অপারেটিভ এসোসিয়েশন এর বাংলাদেশ তরণি স্বেচ্ছাসেবক পাঠানোর কথা উল্লেখ কওে শেখ হাসিানা বলেন, তারা বাংলাদেশর গ্রামীন অর্থনীতি শিক্ষা  ওঅবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখেছে।তাকে ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া অনারালী ডক্টও অব ল ডিগ্রি প্রদানের কথাও স্মরণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাপান যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞের পর উন্নতির শিখরে পৌছেছে বাংলাদেশও তেমনি মহান মুক্তি যুদ্ধে  একই ধরনের  ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হওয়ার পর আজকের অবস্থানে এসেছে।

এদিকে, বাংলাদেশে অনায়াসে ব্যবসা করার জন্য জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি কার্যকর টাস্কফোর্স গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার জাপান এক্সটারনাল  ট্রেড অর্গানাইজেশনের ( জেটরো) সদর দফতরে আয়োজিত বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসার সুযোগ-সুবিধা বিষয়ক এক  সেমিনারে ভাষণকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে (ইপিজেড)  কেবল জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪০টি শিল্প প্লট বরাদ্দ রাখার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা জাপানি বিনিয়োগকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিই।এ  প্রেক্ষিতে তিনি জাপানি বিনিয়োগকারীদের কাছ  থেকে ইতিবাচক সাড়া আশা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন,জেটরো নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিতে পেরে তিনি খুবই খুশি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এর ফলে দুইদেশের বিদ্যমান সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। জেটরো সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাতের নেতা হিসেবে আপনারা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, কঠোর পরিশ্রম ও আন্তরিকতা দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নে গতির সঞ্চার করেন।

তিনি বলেন, অনেক বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও জাপানি বিনিয়োগকারীরা তাদের উদ্ভাবনী ও মানবসম্পদ নিয়ে কয়েক দশক ধরে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল  দেশগুলোকে সাহায্য করে আসছে। শেখ হাসিনা আরো বলেন, জাপানি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কারিগরি সহযোগিতার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে এমন  দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন, জাপানের অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী মিদোরি মাতসুশিমা, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক জাপান-বাংলাদেশ কমিটির  চেয়ারম্যান  কোজি টাকাইয়ানাগি এবং  জেটরোর  চেয়ারম্যান হিরোইকি ইশিগে।পরে  বেপজা  জোনে জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্লট বরাদ্দ বিষয়ে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটিজ ( বেপজা) ও জেটরোর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা এবং জাপানের অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী মিদোরি মাতসুশিমার উপস্থিতিতে  বেপজা  চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল হাবিবুর রহমান ও  জেটরো প্রতিনিধি কে কাওয়ানো সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।